টেরেসা মে নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন
সাধারণ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভায় রদবদল এনেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। কনজারভেটিভ পার্টির ভিতর থেকে মেধাবী ও যোগ্যদের দিয়ে নির্বাচন পরবর্তী পদের রদবদল করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
নতুন এই পদধারীদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রিসভা দেশের সব মানুষের জন্য কাজ করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন: কনজারভেটিভ পার্টির ভিতর থেকে যোগ্য লোকদের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানোর কাজটিই আমি আজ করেছি। আমরা এমন একটি দেশ চাই যা তার সবার জন্য কাজ করবে।
তার এই নতুন মন্ত্রিসভা সত্যিকার অর্থে সরকারের দায়িত্ব নিয়েই কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, এই মন্ত্রিসভার মাধ্যমে আমরা সফলভাবে ব্রেক্সিট মধ্যস্থতা নিয়ে কথা বলতে পারবো এবং তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হবে।
সরকার ব্রেক্সিট, শিক্ষা খাতের মতো আলোচিত ইস্যুগুলো গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। নতুন নতুন আবাসন তৈরিসহ উপযুক্ত মানসিক স্বাস্থ্য আইনি সহায়তার সৃষ্টি করা হবে যার মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবেন।
প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মে বলেন, ‘নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের সময় আমি বলেছিলাম যে পুর্ননির্বাচিত হলে আমি পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করবো।’
মন্ত্রীসভায় পদের রদবদলে দামিয়ান গ্রিনকে ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যিনি প্রাক্তণ ওয়ার্ক এন্ড পেনসন সেক্রেটারি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি টেরেসা মে’র বন্ধুও।
মাইকেল গোভকে এনভায়রনমেন্ট সেক্রেটারি করা হয়েছে যিনি ব্রেক্সিট কার্যকরের জন্য অন্যতম ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। এই পদের প্রাক্তণ দায়িত্বপালনকারী অ্যান্ড্রে লেডসমকে হাউজ ইন দি কমোন্সের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
লিজ ট্রাজ ব্যাতীত প্রায় অধিকাংশ মন্ত্রীদেরকেই তাদের স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। তাকে বিচারক থেকে প্রধান ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কমোন্স নেতা ডেভিড লিডিংটনকে প্রধান চ্যান্সেলর এবং বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রাক্তণ প্রধান ট্রেজারি সেক্রেটারি ডেভিড গাওকে ওয়ার্ক এন্ড পেনসন সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।