মুন্সীগঞ্জের খালটি উদ্ধারে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস-ডিসি সায়লা ফারজানা
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের পাঁচঘড়িয়াকান্দির খালটি পুন:উদ্ধারে সর্বত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা। খালটি ক্রমান্বয়ে দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা দেখেও যেন না দেখার ভান করছেন। এমন এক মুহুর্তে জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানার সবুজে সাজাই মুন্সীগঞ্জের কার্যক্রম মানুষের মাঝে রেখা কেটেছে।মুন্সীগঞ্জের পৌরসভার পাঁচঘড়িয়াকান্দি থেকে মুন্সীরহাট খালের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে দোকানপাটসহ বিভিন্ন অফিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মুন্সগঞ্জ জেলা শহরের দ্বিতীয় অন্যতম এই খালটি বহু কালের সাক্ষ্য বহনকরে। বিভিন্ন অংশে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা, খাল দখল করে নির্মিত হচ্ছেবড় বড় অট্টালিকা ও বসতবাড়ি। বিশ্বের নামীদামী শহরে লেক বা খাল তৈরী করে আর আমাদের দেশে কেনো, কোন গুনে খাল কে ভরাট করছেন, আমাদের মতো সাধারণ মানুষে মাথায় আসে না।সরকারেও কর্ম-পরিকর্কপনাও তাই ছিল। জনসাধারণের খালের অপর দিকে চলাচলেরজন্য ব্রিজ করছেন কোটি কোটি টাকা খরচ করে ।আর এখন ব্রিজ আছে ঠিকিই খালের অস্তিত্ব দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ।কারো কোন কিছু করার বা বলা নাই। আমরা পৌরসভা থেকে সিটিকরপোরের্শনে উন্নত নাগরিগ হবো ঠিকই সুবিধা পাবো না বলে একাদিক এলাকা বাসির বক্তব্য।প্রশস্ত খালে চলত নৌকা। খালের পানি খুব স্বচ্ছ হওয়ায় মানুষ তা পানও করত। খালের মনোরম দৃশ্য মুগ্ধ করতো মানুষকে। দিনভর মাছ ধরতো এখালে। ব্যবসায়ীরা নৌকা নিয়ে এ খাল দিয়ে চলাচল করতো। রাজনৈতিক অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি বানিয়ে যে যেভাবে পেরেছে, খালটি দখল করেছে। ফেলেছে ময়লা-আবর্জনা। এতে শুকিয়ে গেছে খালের পানি। হারিয়ে গেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ।পাঁচঘড়িয়াকান্দি খালটির অবস্থান মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সরকারি হরগঙ্গা কলেজের পূর্ব দিক দিয়ে সোজা মুন্সীরহাট গিয়ে পৌছেছে। ঐতিহ্যবাহী অতি সম্প্রতি খাল এলাকায়র সরেজমিনে পরিদর্শন করে খালটির দখলের নানা চিত্র দেখা গেছে।সাধারণ ৬০উদ্বে মানুষে কথা কার স্বার্থে খাল কে যত্রতত্র ভরার একধরনের হুকুম দিচ্ছে?নয়াকান্দির সুনিল চন্দ্র মন্ডল বলেন, এই নদী দিয়ে নৌকা চলাচল করে ধলেশ্বরী নদীতে বের হতো। মাছ ধরা হয়েছে এই খাল দিয়ে। সেই সময় এখাল থেকে যে মাছ ধরেছি সে মাছ এখন আর কোথাও পাওয়া যায় না। তিনি বলেন ২০ বছর যাবৎ খালটি অজ্ঞাত কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমান খালটি পুন:খনন করেছিলেন। জমির দুই পাশের লোকজন ময়লা ফেলতে ফেলতেভরাট করে ফেলেছে।এলাকার জনসাধারণ এর দাবি খালটি কে রক্ষা করে সাধারন মানুষের জীবন যাপনে মান রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান।সুন্দর নগরায়ন ও উন্নত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই সরকারের অঙ্গীকারব্দ বলেই জনগনের দাবী।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মুন্সীগঞ্জ জেলার সদস্য ও সাবেক যুবলীগ নেতা সাইফুল বিন সামাদ শুভ্র জানান, ইসলামপুরের মোড় থেকে মুন্সীরহাট পর্যন্তখাল ছিল। খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করতো। এই খাল দিয়ে প্রচুর পরিমানে মাছ ধরা হতো। বছরে ২ বার সেড করে মাছ ধরা হতো এই খাল দিয়ে। তিনি আরো বলেন, খালটিতে অনেকগুলো কালভার্ট রয়েছে। খালইষ্ট অঞ্চলের খাল বন্ধ করে দেওয়ায় ভবিষ্যতে জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করবে। ২০ বছর যাবৎ খালটি বন্ধ করে ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। জমির মালিকগণ চা বিক্রি করে মহা উৎসব পালন করতো যেমন নৌকা বাইচ,ছিলো বর্ষার প্রধান উৎসব। তিনি আরো বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ভূমিদস্যুরা খালটিকে দখল করে নিয়েছে। এইখালটি দিয়ে বড় ধানী নৌকা চলাচল করতো। ধানের চাতাল ছিল নদীর পাড়ে। চাতাল থেকে ধান চাল নেয়ার জন্য বড় বড় ব্যবসায়ীরা আসতো এই নদী ঘেষা খালটি দিয়ে।তিনি আরো বলেন, খালটিতে ড্রেন করে ভরাট করে সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনার কথা শুনেছি। তা কতদূর বাস্তবায়ন হবে জানি না। তবে ভূমিদস্যুদের হাত খালটি পুন:উদ্ধার করে ড্রেন করে রাস্তা করে দিলেও ভালো হয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। এই সমাজে সকলেই বুজতে শুরুকরছে লোকালয় বসতি এলাকায় খাল,লেক,নালা খুবই জরুরী,জলাবদ্বতার হাত থেকে বাচার জন্যই।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মুন্সীরহাট বাজার থেকে ভরাট করে বিশাল অট্টালিকা তৈরী খালের মুখ বন্ধ করে পার্কিংন( গড়িী) ব্যবস্থা করে রেখেছে। পৌর কাউন্সিলর তিনি খালের উপর তার কাউন্সিলিং অফিস নির্মাণ করেছেন। কলেজের পিছনে বড় বড় অট্টালিকা তৈরী করে খালের দৃশ্যমান অবস্থাটুকুও নষ্ট করে ফেলেছে। খালটিতে এখনো ব্রীজ-কালভার্ট মোট ৬টি এখনো দৃশ্যমান। সাঁকো রয়েছে ১০-১২টি। এমন সুন্দর একটি খাল এভাবে শেষ হয়ে গেলে আমাদের সমাজ ও পেরিবেশেরে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। পরিবেশের বিপর্যয় নেমে আসবে। পায়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। এখোননি সু-সময় মুন্সীগঞ্জ জেলা শহর কে আধুনিক শহরে রুপান্তর করে একটি উপযোগী,পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরয়ানে সয়তা করা ।এভাবেই খালটি এখান থেকে শেষ করে দিয়েছে ভূমিদস্যুরাএলাকার মানুষ বলছেন যদি এভাবে যার যার জমি ও বাড়ী লপ্ত নিয়ে খাল ভরাটের উৎসব চলে তবে অত্র এলাকাতে বস্তির চেয়েও খারাপ আকার ধারন করবে বলে সাধারন জনগনের কথা।সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান কে অবগত করে বিষয়টি জানালে তিনি প্রতিনিধিকে জানান সরকারী খাল ভরাট করলে তা বে আইনি ভাবেকরেছে। যাহারাই সরকারী খাল ভরা করেছে তাদের দিয়েই ভরাট উচ্ছেদ করবেন বলে আস্বাস দেন ।আরো বলেন সরকারী খাল কি করে ব্যাক্তি স্বার্থে ভরাট করবে তাও দেখবেন বলে জানান তিনি।এ বিষয় মুন্সীগঞ্জ জেলাপ্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, যদি সরকারী খাল ভরাট করে থাকে তাদের দিয়েই খালের ভরাট উচ্ছেদ করাবো। খাল পুর্ণ:উদ্ধারকরার জন্য আমি সব ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।সুনামধন্য এই খালটি উদ্ধার হোক, আগের রুপে ফিরে আসুক এমনটিই আশা করছেন মুন্সীগঞ্জবাসী।