নবীগঞ্জের সিমান্তবর্তী জগন্নাথপুরের ইউপি মহিলা সদস্য ভূয়া একাউন্টের মাধ্যমে অর্থ আত্বস্বাতের অভিযোগ।
ছনি চৌধুরী,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি Channel 4TV :
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সিমান্তবর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার ৬নং রানীগঞ্জ ইউপির ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহমুদ মিয়া ও ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুকশানা বেগম কর্তৃক কর্মসৃজন কর্মসূচির (কাজের বিনিময়ে খাদ্য),সরকার প্রদত্ত দূর্গতদের মধ্যে ৩৮ কেজি চাউল ও নগদ অর্থ আত্বস্বাতের অভিযোগ । এলাকাবাসীর অতিষ্ট হয়ে গনস্বাক্ষরের মাধ্যমে সুনাগঞ্জজেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সরজমিনে জানা যায়, সুুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ৬নং রানীগঞ্জ ইউপির ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহমুদ মিয়া ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুকশানা বেগম একি ওয়ার্ডে কামরাখাই গ্রামের বাসিন্দা এবং আত্বীয়।আত্বীয় সুবাদে অত্র ওয়ার্ডে বরাদ্ধকৃত টাকা দুজনে মিলে এতদিন আত্বস্বাথ করে আসছে।গত দুই মাস পূর্বের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে জন প্রতি ৩৮কেজি চাউল ও নগদ অর্থ বিতরনে প্রচুর অনিয়ম করে আরও দূরতা দিকে এগিয়ে যায়। দুজন মিলে গত ১৬/১৭ কর্মসৃজন কর্মসূচির (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ৬নং রানীগঞ্জ ইউপির ১নং ওয়ার্ডের জয়নগর ও নোয়াগাঁও রাস্তার জন্য বরাদ্ধকৃত কর্মসৃজন কর্মসূচির টাকা উত্তোলনের জন্য কামরা খাই,জয়নগর ও কোশারাই গ্রামের গোলজার মিয়া,শাহাজান মিয়া ,বশির মিয়া,লিংাকত মিয়া,জয়নাল মিয়া,ইলাক উদ্দীন,ফরিদা বেগম সহ ২৭জনের নাম দিয়ে রানীগঞ্জ বাজার জনতা ব্যাংকে ভূয়া একাউন্ট খোলে কর্মসৃজন কর্মসূচির বরাদ্ধকৃত ১ম কিস্তির ২১৬০০০ টাকা উত্বেলন করে আত্বস্বাৎ করে।এলাকার কর্মসৃজন কর্মসূচি কাজের জন্য এলাকার হত দরিদ্র লোক উপজেলা টিআইর কাছে জানতে গেলে সেখান থেকে জানা যায় কােিজর বিনিময় খাদ্য কর্মসূচি শেষ হয়েছে এবং সেইটাকা তোলা হয়েছে। তখন উক্ত লোকজন রানীগঞ্জ বাজার জনতা ব্যাংকে খোজ নিলে জানতে পারেন ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহমুদ মিয়া ও ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুকশানা বেগম কর্তৃক কর্মসৃজন কর্মসূচির (কাজের বিনিময়ে খাদ্য), কাজের বরাদ্ধকৃত ১ম কিস্তির ২১৬০০০ টাকা উত্তোলন করে তোলে নিয়েছেন। উক্ত বিষয়টি ইউপি সদস্য এবং মহিলা সদস্যকে জিঙ্গেস করলে কোন জবাব না পেয়ে অতিষ্ট হয়ে এলাকার হত দরিদ্র কৃষকরা ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহমুদ মিয়া ও ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুকশানা বেগম বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাষকের বরাবর আবেদন করেন।