বেসরকারিখাতে ঋণ হঠাৎ বেড়েছে বেশিরভাগ যাচ্ছে গুটি কয়েক মেগা প্রকল্পে
হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ। ব্যাংকাররা বলছেন, বেসরকারিখাতের ঋণের সিংহভাগ যাচ্ছে বিদ্যুৎসহ গুটি কয়েক মেগা প্রকল্পে। তবে সরকার ঋণ না নেয়ায় আপাতত ঋণ প্রবৃদ্ধি মুদ্রানীতির প্রাক্কলনের মধ্যেই আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। অবশ্য ঘোষিত বাজেটে এরই মধ্যে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে সরকারের ঋণের। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, আপাত দৃষ্টিতে আমানত কমার প্রভাব দৃশ্যমান না হলেও বাজেট বাস্তবায়নে গেলে ভবিষ্যতে ঋণ সংকটে ভুগবে বেসরকারিখাত।
টাকার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে প্রতি ছয় মাসে একবার মুদ্রাকৌশল নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গেল কয়েক বছর ধরেই বেসরকারিখাত প্রত্যাশিত ঋণ না নেয়ায় কিছুটা চিন্তিতই ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এবার হঠাৎ করেই অতিরিক্ত ঋণ গেছে বেসরকারিখাতে। মুদ্রানীতির সবশেষ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়ে বেসরকারিখাতে ঋণ বেড়েছে দশমিক ৭ শতাংশ। অবশ্য একই সময়ে সরকার ঋণ না নিয়ে উল্টো পরিশোধ করায় সরকারের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ।
আশংকার বিষয় হলো, ব্যাংকখাতের নিট ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ২৫ ভাগ। তবে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ। যা হওয়ার কথা উল্টো। ব্যাংকাররা বলছেন, বেসরকারিখাতের ঋণের সিংহভাগই গেছে বিদ্যুৎসহ গুটি কয়েক মেগা প্রকল্পে।
এমতাবস্থায় নতুন করে সরকারের আবগারি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণায় আমানত আরো কমে যাওয়ার আশংকা করছেন বিশ্লেষকরা। যা ভবিষ্যতে বেসরকারিখাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরবে বলে মনে করেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে, আমানতে বাড়তি আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।