বুম শব্দের চেয়েও দ্রুতগতির প্লেন
আগামী ৬ বছরের মধ্যে শব্দের চেয়েও দ্রুতগতির যাত্রীবাহী সুপারসনিক প্লেন নিয়ে আসার পথে এগুচ্ছে ডেনভারভিত্তিক এ্যারোস্পেস কোম্পানি বুম। এতে বিজনেস এবং ফার্স্টক্লাসের যাত্রীরা নিউইয়র্ক এবং লন্ডনের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবে মাত্র আড়াই ঘণ্টায়। বুমের নতুন এই স্টার্ট-আপ নিয়ে অন্যান্য এয়ারলাইনসগুলোও উৎসাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্যারিস এয়ার শো’তে এ তথ্য জানান বুমের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ব্ল্যাক স্কোল। ৫টি এয়ারলাইন্স থেকে এখন পর্যন্ত বুম এয়ারলাইনার্সের জন্য ৭০টি অর্ডার পাওয়ার কথাও জানান তিনি।
এর মাধ্যমে সান ফ্রান্সিসকো থেকে টোকিও মাত্র ৫.৫ ঘণ্টায় (বর্তমানে ভ্রমণ সময় ১১ ঘণ্টা), লস এ্যাঞ্জেলেস থেকে সিডনিতে ৭ ঘণ্টার ও কম সময়ে (বর্তমানে লাগে ১৫ ঘণ্টা) যাতায়াত করা যাবে।
তবে অনেকেই বুমের এই উদ্যোগের সফলতা নিয়ে সন্দিহান। সুপারসনিক কমার্শিয়াল ফ্লাইট হিসেবে জ্বালানি অর্থনীতি, অপ্রদর্শিত প্রযুক্তি, সময় নিয়ে চ্যালেঞ্জ এবং বিধি’র মতো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হবে বুমকে, বলেন এয়ারলাইন শিল্প বিষয়ক স্বাধীন বিশ্লেষক রবার্ট মান।
প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলেই সুপারসনিক প্লেন পরিচালনায় এসব বাধা সফলভাবে মোকাবেলায় আত্মবিশ্বাসী ব্লেক। ২০০৩ সালে ইউরোপিয়ান এয়ারক্রাফ্ট কনকর্ড তাদের ট্রান্সএ্যাটলান্টিক সুপারসনিক ফ্লাইট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহনের মতো যাত্রী ছিল গুটিকয়। অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হতে না পারার কারণেই তা বন্ধ হয়ে যায়।
অবশ্য এ সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় নিজের বিশ্বাসের কথা জানান ব্লেক। ডিজাইনে পরিবর্তন এনে ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীদের পরিবহন খরচ অনেক কমিয়ে আনা যাবে বলে জানান তিনি।
কনকর্ড যেখানে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন যাত্রায় বিজনেস ক্লাস টিকেটে ২০ হাজার ইউএস ডলার নিতো, সেখানে বুম মাত্র ৫ হাজার ইউএস ডলার নিয়েই যাত্রীসেবা দিবে বলে জানান তিনি।
তবে আরও কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যেমন সুপারসনিক বিমানের জন্য আকাশপথ ব্যবহার করতে দিতে আপত্তি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের। উচ্চশব্দের শক ওয়েভ এবং যাত্রাপথের নিচের বাসিন্দাদের অসুবিধার কারণে এমন নিষেধ। তবে এক্ষেত্রেও ডিজাইনের পরিবর্তন এনে অসুবিধা দূর করতে সক্ষম বলে জানায় বুম।