ক্ষমা চাইলেন মেয়র আনিসুল হক
মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ায় রাজধানীর অধিকাংশ সাধারণ নাগরিক আক্রান্ত হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতার পর সাংবাদিকদের সামনেই তিনি এ ক্ষমা চান।
এ সময় মশা নিধনের জন্য সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ পুরো টাকা কেন খরচ করা হয়নি সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে জবাবদিহি চান মেয়র।
এরপর চলতি অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ৩৮৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করে তিনি বলেন, আমরা চিকুনগুনিয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমরা প্রতি বছর বরাদ্দ বাড়াচ্ছি। কচুরিপানা, জলাশয়, পুকুর, ডোবা, লেকসহ বিভিন্ন এলাকা পরিষ্কার করছি।
উত্তরের এই মেয়র বলেন, ডিএনসিসির প্রথম বছরের বাজেটে মশা নিধনের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। পরের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) তা বাড়িয়ে করা হয় ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করা হয়নি। এ বছর বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ কোটি টাকা।
মশা নিধনের জন্য টাকা বরাদ্দ রাখা থাকলেও তা কেন খরচ হয়নি –সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘এই প্রশ্ন তো আমারও। বরাদ্দ রাখা টাকা কেন খরচ হলো না?
এরপর তিনি এ ব্যাপারে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএমএম সালেহ ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমাদের টাকা খরচের প্রয়োজন হয়নি। যে কারণে অতিরিক্ত টাকা খরচ করা হয়নি। আমাদের সব ইকুইপমেন্ট ছিল। পর্যাপ্ত ওষুধ ছিল।’
তিনি বলেন, আমরা চাইলেও অনেক এলাকায় মশার ওষুধ ছিটাতে পারি না। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, উত্তরার কিছু এলাকা ও সেনানিবাস এলাকায় আমাদের ওষুধ ছিটানোর অনুমতি নেই। ওইসব এলাকায় মশা জন্মায়। সেখান থেকে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে যায়। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া নগরবাসীর অসচেতনতাও অন্যতম কারণ।