চালের বাজার: দেরিতে হলেও মজুদ ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী সরকার
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে দেরিতে হলেও মজুদ ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হয়েছে সরকার। এরই মধ্যে আমদানি শুল্কহার কমানো, ব্যবসায়ীদের জন্য বাকিতে এলসি খোলার সুযোগ এবং ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সরকারের এমন উদ্যোগের পরও বাজারে এখনো এর প্রভাব পড়তে শুরু করেনি। তবে চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা বলছেন, এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে ঈদের পর চালের দাম কেজি প্রতি কমে আসবে অন্তত ৫ থেকে ৭ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মজুদ ব্যবস্থাপনায় যে ঘাটতি ছিল তা মেটাতে দেরিতে হলেও সরব হয়ে উঠেছে সরকার। মঙ্গলবার চাল আমদানিতে শুল্কহার ২৮ শতাংশের পরিবর্তে তা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। এরপর বৃহস্পতিবার ভিয়েতনাম রাষ্ট্রদূত ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ শেষে জানানো হয়, ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল আমদানি করা হচ্ছে। যা বাংলাদেশে আসবে ১৫ দিনের মধ্যে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের জন্য বাকিতে এলসি খোলার সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রী ব্যাংক।
সরকারের এমন তৎপরতার পর বাজার ঘুরে দেখা যায়, একনো তার প্রভাব পড়তে শুরু করেনি চালের দামে। তবে ক্রেতাদের অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন দাম কমে আসার।
পাইকারি চাল ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা বলছেন, সরকারের এমন পদক্ষেপে বাস্তবায়ন হলে চালের দাম অবশ্যই কমে আসবে এবং মিল মালিকরাও নড়েচড়ে বসবেন।
সরকারের এমন ঘোষণায় বেশ সতর্ক হয়ে উঠেছেন মিল মালিকরাও। দেশের অন্যতম বড় চালকল কুষ্টিয়ার খাজানগর ও নওগাঁর একাধিক চালকল মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চালের দাম ঈদের পর দ্রুত কমে আসবে। কেজি প্রতি তা হবে অন্তত ৫ থেকে ৭ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেখা যায়, ২০ জুন পর্যন্ত সরকারের কাছে চালের মজুদ রয়েছে ২ লাখ টনেরও কম। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৬ লাখ টনেরও বেশি।