ঈদের ছুটিতে শিল্পাঞ্চল ফাঁকা
আব্দুস সাত্তার,সাভার Channel 4TV :
শিল্পাঞ্চল-আশুলিয়ায় ছোট-বড় মিলে মোট চারশত পোশাক কারখানা রয়েছে। এ কারখানাগুলোতে প্রায় ১১ লাখ মানুষ কাজ করেন। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে নির্ঘুম রাতে এখানকার অলি-গলিতে চলে শ্রমজীবি মানুষের আনাগোনা। এছাড়া অন্য পেশার মানুষেরাও বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। লক্ষ-লক্ষ মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয় এ অঞ্চল। একদিকে শিল্প-কারখানার মেশিনের ঘট-ঘট শব্দ অন্যদিকে কর্মজীবি মানুষের কোলাহলে পাল্টে যায় পুরো অঞ্চলের দৃশ্য।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার হিড়িক পড়ে গেছে ঘরমুখো মানুষদের। এ জন¯্রােত শনিবার আরও বেড়ে যায়। গত রবিবারও এ অঞ্চল ছেড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ফলে পুরো অঞ্চলজুড়ে এখন শূণ্যতা বিরাজ করছে।
আপন জনদের নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে গত তিনদিন ধরে নাড়ির টানে বাসষ্ট্যান্ডে নেমেছিল ঘরমুখো মানুষের ঢল। আশুলিয়ার নবীনগর, বাইপাইল, ইপিজেড, বলিভদ্রবাজার, শ্রীপুর, জিরানী ও কবিরপুর বাসষ্ট্যান্ডে ঘরমুখো মানুষের ঢল দেখা গেছে। এছাড়া ইউনিক, জামগড়া, ছয়তলা, সরকার মার্কেট, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর, জিরাবো ও আশুলিয়া বাজার বাস ষ্ট্যান্ডে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেককেই বাস আর ট্রাকের ছাদে উঠতে দেখা গেছে। দুপুরের মধ্যেই আশুলিয়া ফাঁকা হয়ে যায়।
লক্ষ-লক্ষ মানুষের পদচারণায় মুখরিত যানজটের চিরায়িত রূপের আশুলিয়া এখন ফাঁকা। কোথাও কোলাহল বা দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম নেই। মানুষের অন্যতম প্রধান পরিবহন বাসের আধিক্য নেই বললেই চলে। বাস, মিনিবাস, কাউন্টার সার্ভিস, হিউম্যান হলারসহ অন্যান্য বাস সার্ভিস চলছে নামে মাত্র।
শিল্পাঞ্চল-আশুলিয়া ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা চিত্র ছিল চোখে পড়ার মতো। যেসব রাস্তা ছিলো বাস-মিনিবাস, অটোরি·া, ইজিবাইক ও রিকশা আর হকারদের দখলে, এখন সেসব রাস্তার চিত্র একেবারেই ভিন্ন। যানবাহনের সঙ্গে কমে গেছে হকারের সংখ্যাও।
ফিরোজ নামের এক দোকানীর সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, দোকান খুলছি হুদ্দাই। কোন লোকজন নেই, বেচা-কেনাও নেই। ঈদ বন্ধের কয়দিন দোকান বন্ধ রাখবো