একজন পূর্ণ বয়সী মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দৈনিক দরকার অন্তত ২৫০ মিলিলিটার দুধ। সে হিসাবে ১৬ কোটি মানুষের একদিনে প্রয়োজন ৪০ হাজার টন; বছরে প্রায় দেড় লাখ টন। বিপরীতে দেশে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৭৩ লাখ টন। আর বছরে আমদানি হচ্ছে আরো ১ লাখ গুঁড়ো দুধ। বাকিটা পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদা মাফিক।
উৎপাদিত দুধের সুষ্ঠুভাবে প্রক্রিয়াজাত হয় মাত্র ৭ শতাংশ। আর বেশিরভাগই বিক্রি হয় স্থানীয় বাজারগুলোতে। যা ভোগ করে সাধারণ মানুষ। অনানুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি হওয়া এই দুধের দামও নির্ধারিত হয় না কোনো মানদণ্ডে। ফলে, বেশিরভাগ সময়ই সংকটে পড়েন কৃষক। উৎপাদন না বাড়ানোর পেছনে অন্যতম যুক্তিও এটি।
এই শিল্পে এখনো বড় সমস্যা পর্যাপ্ত গাভীর অভাব। একই সাথে কারিগরি অদক্ষতা। প্রতিবছর কৃষির এই উপখাতে বিপুল বিনিয়োগ হলেও, আলাদাভাবে দুধ উৎপাদনে নেই সরকারি উদ্যোগও।
দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার পেছনে বড় অবদান এই শিল্পের। অনেকের মতে, উৎপাদনের পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত পণ্যেও উৎপাদন বাড়ানো গেলে অর্থনীতিতে ঘটবে মূল্য সংযোজন।
দুধ আমদানি করেও পূরণ হচ্ছে না চাহিদার অর্ধেক
পুষ্টিকর খাদ্য দুধের অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। তবে চাহিদা ও উৎপাদনে সঙ্গে রয়ে গেছে, বড় তফাৎ। বছরে ৭৩ লাখ টন তরল দুধের ঘাটতি মেটাতে আমদানি করা হচ্ছে ১ লাখ টন গুঁড়ো দুধ, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। আবার, যা উৎপাদিত হচ্ছে, তারও যথাযথ দাম পাচ্ছেন না খামারীরা। অথচ, কার্যকর সরকারি পদক্ষেপে এই শিল্পের মাধ্যমে আরো বড় হতে পারে গ্রামীণ অর্থনীতি।