ধুঁকে ধুঁকে চলছে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ
দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ চলছে ধুঁকে ধুঁকে। একটিতেও নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক। কোথাও মেডিকেল অফিসার, কোথাও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের দিয়ে চলছে ক্লাস-পরীক্ষা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরাপত্তার অভাব ও জীবনের ঝুঁকির কারণে এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই।
ফরেনসিক মেডিসিন চিকিৎসাবিদ্যার এমন একটি শাখা, যা সরাসরি সহায়তা করে আদালতকে। অস্বাভাবিক মৃত্যু, পিতৃত্ব নির্ণয় কিংবা ধর্ষণের প্রমানসহ জটিল সব প্রশ্নের উত্তর মেলে ফরেসনিক পরীক্ষায়।
কিন্তু, মেডিকেল কলেজগুলোয় পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে, গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। দেশের ৩০টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে দরকার অন্তত ২১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। কিন্তু আছে মাত্র ২৭ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, গেলো ৫ বছরের ১৩০টি আসনের বিপরীতে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিয়েছেন মাত্র ৩১ জন। আর ২০১৬ সালে ডিপ্লোমা কোর্সে ২৬ আসনের বিপরীতে ভর্তিই হয়েছেন ২২ জন।
সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে এমবিবিএস, স্নাতকোত্তর ও ডিপ্লোমা কোর্সে ফরেনসিক বিভাগের প্রশ্লপত্র তৈরি, ক্লাস নেয়া ও পরীক্ষার খাতা দেখার লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, বিশেষজ্ঞ না হলেও বিভিন্ন মেডিকেলে ফরেসনিক বিভাগে ৬১ জন প্রভাষক রয়েছেন। তবে জনববল বাড়ানোর কাজ চলছে।
তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার স্বার্থে, ফরেসনিক বিভাগে দক্ষ লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।