জলে জাল ফেলেই চলে সংসারের চাকা। কিন্তু মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়, মা ইলিশ ও জাটকা ধরা। এজন্য প্রতি পরিবারকে ৪০ কেজি করে ভিজিএফ সহায়তা দেয়ার কথা।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, গোসাইহাট, নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় ১২ হাজার দুইশ জেলে পরিবারকে আনা হয় ভিজিএফ এর আওতায়। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত চাল দেয়া হলেও, পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় জুন মাসে জেলেদের চাল দিতে পারেনি সরকার।
একদিকে সরকারি সহায়তা না পাওয়া, অন্যদিকে চালের দাম বৃদ্ধি; সব মিলিয়ে দিশেহারা ১২ হাজার জেলে পরিবার। করুণ পরিস্থিতির কথা স্বীকার করলেন, খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তাও। তবে ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সংকটের।
খাদ্য বিভাগ বলছে, ভেদরগঞ্জে প্রায় ৭ হাজার জেলে পরিবারের জন্য দুইশ ৮২ টন চাল লাগলেও, মজুদ আছে মাত্র ৬২ টন। গোসাইহাটে মজুদের পরিমাণ ৩০ টন; তবে সাড়ে তিন হাজার পরিবারের চাহিদা প্রায় একশ টন।
বিজিএফের চাল পাননি জেলেরা গুদাম প্রায় শূন্য
শরীয়তপুর জেলার সব খাদ্যগুদাম এখন প্রায় চাল শূণ্য। আর তাই চরম সংকটে থাকা জেলার ১২ হাজারেরও বেশি জেলে পরিবারকে দেয়া হয়নি গেলো জুন মাসের বিশেষ বিজিএফ সহায়তার ৪০ কেজি করে চাল। যদিও ঈদের আগেই এই চাল পাওয়ার কথা ছিলো তাদের। তাই ৫০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলেদের।