রাঙ্গাবালীতে ডাকঘরের ভবন নির্মাণের চার বছরেও চালু হয়নি কার্যক্রম
বিশেষ প্রতিবেদক,মু.নজরুল ইসলাম।
ডাক বিভাগের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা ডাকঘর শাখার ভবন নির্মাণের চার বছরেও কার্যক্রম চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাবাসী। অপরদিকে ভবনটি ব্যবহার না করায় দিনদিন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকঘর ভবনের দরজার পলেস্তরা খসে পড়ছে। বিভিন্ন অংশে মরিছা ধরে রয়েছে। আবার অনেক স্থানে পলেস্তরা ফেটে সেখান থেকে গাছ বেরিয়ে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্নহয়ে পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এরপরে ডাক বিভাগ তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং সেল থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলা ডাকঘরের জন্য দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে। তবে ভবন নির্মাণের চার বছরেও ডাকঘরের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। জানা গেছে, একটি ডাকঘরের কার্যক্রম চালু করতে অন্তত আটজন কর্মকর্ত-কর্মচারীর প্রয়োজন। এর মধ্যে উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার, পোষ্টাল অপারেটর দুইজন, পোষ্টম্যান দুইজন, ডাক পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহনকারী একজন, সহকারী পরিদর্শক একজন ও রানার একজন। রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, বর্তমানে ডাক বিভাগের যে কার্যক্রম চলে তা শুধু এই এলাকার দুই-একটি চিঠি আদান-প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেখান থেকে জরুরী কোন পার্সেল পাঠানো যায় না। মানি অর্ডার করতে যেতে হয়ে বিকাশ-এর দোকানে। এতে অনেক টাকা খরচ হয়। যদি উপজেলা ডাকঘরের কার্যক্রম শুরু হয় তাহলে পুরো সেবাই পাওয়া যাবে। রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ডাকঘরের ভবনটি পড়ে রয়েছে। কোন ধরণের কার্যক্রম শুরু হয়নি। একারণে উপজেলার মানুষ বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে এটির কার্যক্রম শুরুর জোরালো দাবি জানাই। এ ব্যাপারে ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল পটুয়াখালী কার্যালয়ের ডাকঘর পরিদর্শন (দক্ষিণ) আবু সালেহ মো: মুসা বলেন, লোকবল সংকটের কারণে রাঙ্গাবালী উপজেলা ডাকঘরের কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। কার্যক্রম শুরুর জন্য পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল (দক্ষিনাঞ্চল) খুলনা বরাবরে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছ।