এজন্য একে অন্যের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। বন্দর ব্যবহারকারিদের কারো কারো দাবি, সাম্প্রতিক জটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের উৎপাদনক্ষমতা কমেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের ৫ নম্বর বার্থ। যেখানে জাহাজ থেকে কন্টেইনার খালাসে ব্যস্ততা থাকার কথা, সেখানে সবকিছুইতেই ধীরগতি। কারণ, ১৬টি ট্রেইলর থাকলেও কয়েকশ গজ দূরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার নিতে গিয়ে লেগে যাচ্ছিল দীর্ঘ সময়।
ইয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল কন্টেইনার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ট্রেইলর। অলস বসে আছে কন্টেইনার নামানোর সরঞ্জাম। কারণ স্থান সংকট। ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাব আর ঈদের বন্ধে সৃষ্ট কন্টেইনার জটে বন্দরে এখন এমনই স্থবিরতা। এরসাথে যোগ হয় গ্যান্ট্রি ক্রেনে ত্রুটি। তবে এর মধ্যেও কোন কোন বার্থ আর ইয়ার্ডে কাজ চলছে জোরেশোরে।
এক্ষেত্রে বিশেষ কাউকে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ উঠলেও তা নাকচ করেছে বেসরকারি অপারেটররা। বন্দরের সিসিটি-এনসিটি থেকে দিনে গড়ে প্রায় আড়াই হাজার কন্টেইনার খালাস হয়ে থাকে। রোববার যা ছিল সাড়ে সতেরশোর মতো। জট তৈরীর পেছনে আমদানিকারক আর বেসরকারি ডিপোগুলোর অপর্যাপ্ত কন্টেইনার খালাসকে দায়ী করা হলেও কেউ কেউ দুষছেন অব্যবস্থাপনাকে। এসব ব্যাপারে কোন বক্তব্য না দিলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে জানান বন্দরের কর্মকর্তারা।