নীলফামারীর সৈয়দপুরে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি পরিবার
শাহ মো: জিয়াউর রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি পরিবার।
অভিযোগে জানা যায়, শহরের মিস্ত্রীপাড়া মন্দির রোড এলাকার বাসিন্দা নুরুল হোসেন খানের মেয়ে শিরিন আক্তারের সাথে গত ১৬/০১/২০১১ ইং তারিখে বিয়ে হয় ইসলামবাগ চিনি মসজিদ (গোলাহাট পুলিশ ফাড়ি সংলগ্ন) এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদের ছেলে সাহিদ শামীমের সাথে। বিয়ের পর থেকে শিরিন আক্তার সংসারে মনোযোগী না হয়ে বিলাসি জীবনযাপন করার চেষ্টা করে। স্বামীর অবাধ্য হয়ে শ্বশুড়-শাশুড়ীর সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদ করতে থাকে। এক পর্যায়ে শিরিন সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে। এছাড়া শিরিন বিভিন্ন মামলায় ফাঁসাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে শিরিনকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও অনেকে ব্যর্থ হয়। তাছাড়া শিরিন সাহিদের কাছে বিভিন্ন দাবীদাবা করে হয়রানি করে আসছিল। এ অবস্থায় শিরিনের কর্মকান্ডে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। এর মধ্যে গত ০৩/০৫/১৭ ইং তারিখে সকাল ১০টায় শিরিন সাহিদের বাসা থেকে স্বর্ণলংকার ও কাপড় চোপড় নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়। যাওয়ার পর তাকে ফিরে আনার অনেক চেষ্টা করেও সাহিদ ব্যর্থ হন। এ নিয়ে সাহিদ সৈয়দপুর থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং -৬৯৪, তারিখ ঃ ১৩/০৫/২০১৭ । জিডির বিষয়টি জানতে পেরে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে শিরিন। সে মিথ্যা মামলার হুমকি দিতে থাকেন। স্ত্রী যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে সাহিদ গত ১৪/০৫/১৭ ইং তারিখে শিরিনকে তালাকের নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ প্রাপ্তির পর শিরিন ও তার ভাই সৈয়দপুর জিআরপি থানায় কর্মরর্ত পুলিশ সদস্য আশরাফ সাহিদের পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে। নিরুপায় হয়ে সাহিদ গত ১৬/০৫/১৭ ইং তারিখে নীলফামারী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শিরিন, আশরাফ ও রিপনের নামে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ও ১১৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অবশেষে শিরিনকে সরকারী বিধিমতে তালাক দেন সাহিদ। এছাড়া গত ১৪/০৫/১৭ ইং তারিখে নীলফামারী নোটারী পাবলিকের কাছে এফিডেভিট করেন সাহিদ। এদিকে পূর্ব থেকে দিয়ে আসা হুমকির ধারাবাহিকতার আলোকে শিরিন গত ২০/০৫/১৭ ইং তারিখে সৈয়দপুর থানায় একটি মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৫। মামলায় আসামী করা হয়েছে সাহিদ, তার বোন সানাম আক্তার, পিতা শামীম আহমেদ ও মা শাহানাজ বানুকে। সাহিদ অভিযোগ করেন যে, প্রেমের সম্পর্কের কারণে উভয়ে বিয়ে করি। বিয়েতে আমার স্ত্রীর পরিবার কোন কিছু দেয়নি। বরং শিরিন সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে। অথচ সৈয়দপুর থানায় মিথ্যা মামলায় যৌতুক দাবিসহ অনেক জিনিস পত্র দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত সব তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মামলায় ইতিমধ্যে সাহিদের বাড়ীতে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ কয়েকবার হানা দেয়। বর্তমানে মিথ্যা মামলায় আসামী হয়ে পুলিশের ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সাহিদের পুরো পরিবার। এদিকে শিরিনের ভাই জিআরপি পুলিশ সদস্য আশরাফ বাড়িতে গিয়ে হুমকি প্রদান করছে। অভিযুক্তরা মামলাটির সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং তারা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।
এ ব্যপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দীলিপ কুমার জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।