বাংলাদেশে এসে স্মৃতিকাতর জয়াবর্ধনে
বাংলাদেশ ও এদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে মাহেলা জয়াবর্ধনের সখ্যতা প্রায় দুই যুগের। ১৯৯৪ সালে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের হয়ে প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তার তিন বছর পর মাথায় ওঠে টেস্ট ক্যাপ। সাদা পোশাকে ১১ হাজারের উপরে রান করা এই কিংবদন্তি পরেও অনেকবার বাংলাদেশে এসেছেন। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে। বিপিএলের গত আসরেও খেলে গেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসে। তবে আবার যখন এলেন, বদলে গেছে ভূমিকা। বিপিএলেরই দল খুলনা টাইটানসের কোচ হিসেবে চেনা দেশে আগমন তার।
ক্রিকেটে বাংলাদেশের উত্থানের গল্প অন্য ভিনদেশির চেয়ে জয়াবর্ধনের যেন একটু বেশিই জানা। মাশরাফি-সাকিব-তামিমদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার ও নবীনদের অবদানে লাল-সবুজের ক্রিকেট যে সঠিক পথে হাঁটছে, ঢাকায় এসে সেটিই আরেকবার বললেন এই লঙ্কান গ্রেট।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় খুলনা টাইটানসের কোচ-অধিনায়কের পরিচিতি পর্ব। সেখানে বিভিন্ন প্রসঙ্গের সঙ্গে উঠে আসে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্যের ঊর্ধ্বগামী গ্রাফের কথাও। বাংলাদেশ কেন এমন সাফল্য পাচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিলেন জয়াবর্ধনে।
‘অবশ্যই বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর থেকে তারা অনেক পথ এগিয়েছে। গত ছয় বছর তারা ধারাবাহিক ভালো খেলছে। একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে খেলছে বলেই সাফল্য আসছে। তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দেরও ধারাবাহিক মনে হয়েছে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে উন্নতির পেছনে কোচিং স্টাফদের অবদানও কম নয়। ২০১৫ সালে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে হেড কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই উন্নতির সিঁড়িতে কেবল উপরেই উঠেছে টাইগাররা। ফিটনেস ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নও শ্রীলঙ্কান। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করে যাওয়া সাবেক লঙ্কান ক্রিকেটার রুয়ান কালপাগেও রাখেন ভূমিকা।
বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে লঙ্কানদের অবদানের কথাও হাস্যরসের সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিলেন জয়াবর্ধনে, ‘বাংলাদেশের সাফল্যের সবচেয়ে বড় সিক্রেট শ্রীলঙ্কান কোচিং স্টাফদের পাওয়া। এটা অনেক পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার পেছনে আমরা তাদের কিছু কৃতিত্ব দিতে পারি।’
জাতীয় পর্যায়ে ‘এ’ দলের হয়ে প্রথম সফর বাংলাদেশে ছিল বলেই শুধু নয়, এখান থেকে বিশ্বকাপ জিতে যাওয়ার সুখস্মৃতিও আছে তার। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে তার নাকি মনে হচ্ছিলো স্বদেশের মাটিতেই খেলছেন। সেই জয়া এবার লাল-সবুজের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হলেন নতুন ভূমিকায়।