চরফ্যাশনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতার কান্ড। শিশু ধর্ষন চেস্টাকারীর জরিমানা ১০ হাজার টাকা।
এম.ইউ মাহিম। ভোলা জেলা প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর ফ্যাশন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের চেস্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় উত্তর ফ্যাশন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারটির নতুন ভবন বর্তমানে নির্মানাধীন রয়েছে।ঐ এলাকার দরিদ্র দিনমজুর রফিকুল ইসলামের কন্যা অত্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত।গতকাল বৈরী আবহাওয়ার মধ্যও শিশুটি বিদ্যালয়ে আসে।বৃস্টি হওয়ায় বিদ্যালয়ে তখন অন্যান্য সহপাঠী ও ছাত্র/ছাত্রী কেউই স্কুলে এসে পৌছায়নি। স্কুলটির নির্মানাধীন নতুন ভবনে কর্মরত প্রহরী লম্পট মোঃ হাছনাইন এ সুযোগে শিশুটিকে একটি কক্ষে নিয়ে প্রথমে টাকা সাধে পরে শিশুটির পাজামা ছিরে ফেলে ধর্ষনের চেস্টা চালায়। পরবর্তীতে শিশুটি বাড়ী গিয়ে তাহার মা,বাবাকে ঘটনাটি জানালে শিশুটির মা,বাবা স্কুলের শিক্ষক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ঘটনাটি অবহিত করেন। শিশুটির বাবার সাথে কথা বলে এ ঘৃন্য ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। শিশুটির বাবা প্রতিবেদককে বলেন শিশুটির পরিধেয় পায়জামা ছেড়া পাওয়া গেছে।
ঘৃন্য এ অপরাধটি ধামাচাপা দিতে ধর্ষন চেস্টাকারী যুবক হাছনাইন হতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ঐ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ওছমানগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি কাশেম মোল্লা সহ এলাকার আরও কয়েকজন ব্যক্তি ঘৃন্য ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানা যায় আজ সকাল ১১ টার সময় কাশেম মোল্লা স্কুলের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এলাকার আরও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ স্কুলেই শিশুটির মা,বাবা কে নিয়ে মিমাংসা শালিষ বৈঠকে বসে। শালিষে কাশেম মোল্লা ধর্ষন চেস্টাকারী যুবক হাছনাইন কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নগদ ৫ হাজার টাকা শিশুটির মা,বাবার মনোনীত ব্যক্তির হাতে আর বাকী ৫ হাজার টাকা ২০ তারিখে দেওয়া হবে বলে জানান কাশেম মোল্লা।
ঘৃন্য এ অপরাধের জন্য লম্পট হাছনাইনকে কাশেম মোল্লা মাত্র ১০ হাজার টাকা জরিমানা করায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এমন একটি ঘৃন্য অপরাধে কোন রকম ভৎসনা থাক দুরের কথা কেন মাত্র দশ হাজার টাকা জরিমানা করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে কাশেম মোল্লা জানান শিশুটির পরিবার গরীব,আর ধর্ষন চেস্টাকারী যুবকটিও গরীব বিধায় তিনি এ কাজ করেছেন।
গরীবদের আর্থিক জরিমানা করলে ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের অপরাধ করার সাহস পায়না বলে জানান কাশেম মোল্লা। এদিকে শিশুটির বাবা রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি জরিমানার টাকা তাহার মনোনীত ব্যক্তির নিকটই ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি টাকা চান নি। তিনি চেয়েছেন সুস্ঠু বিচার। তিনি সঠিক বিচার পান নি বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আমাদের দেশে এ শিশু নির্যাতনের মত ঘৃন্য ঘটনা নতুন নয়। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও শিশু ধর্ষন,নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। কাশেম মোল্লাদের মত এক শ্রেনীর সমাজপতিদের কারনেই হাছনাইনের মত লম্পট রা টাকার বিনিময়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। হাছনাইনের মত এসব লম্পটদের যদি সঠিক শাস্তি নিশ্চিত করা যেত আর সামাজিক ভাবে এসব ঘটনা প্রতিরোধ করা যেত তাহলে শিশু ধর্ষন আর নির্যাতন কমে আসত।
কাশেম মোল্লাদের মত সমাজপতিদের বিরুদ্ধে যদি মানুষ টাকার বিনিময়ে এসব ঘৃন্য ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ দেয় তাহলে সামাজিক আর নৈতিক অবক্ষয় হতে দেশ ও জাতি কবে মুক্তি পাবে। এ প্রশ্ন চরফ্যাশনের ওছমানগঞ্জ উত্তর ফ্যাশনপুর সচেতন সুধী সমাজের।