জার্মানিতে শুরু জি-টুয়েন্টি সম্মেলন
জার্মানির হামবুর্গে শুরু হয়েছে প্রভাবশালী বিশ্বনেতাদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন জি-টুয়েন্টি। এতে অংশ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিশ্বেনেতারা।
এবারের সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু প্রাধান্য পাচ্ছে। সম্মেলনের সাইড লাইনে ট্রাম্প ও পুতিন প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হবেন।
এদিকে, সম্মেলনকে ঘিরে হামবুর্গে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৭৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
জার্মানির সভাপতিত্বে জার্মানির হামবুর্গে শুরু হয়েছে প্রভাবশালী বিশ্বনেতাদের সম্মেলন জি-টোয়েন্টি । শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে দুই দিনের এ সম্মেলনে শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, তুরস্কসহ উন্নত ও উন্নয়নশীল ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিয়েছেন।
এবারের সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, মুক্ত বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু প্রাধান্য পাচ্ছে।
সম্মেলনের শুরুতেই উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল। বলেন, এই সম্মেলন বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে। সম্মেলনে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হবে বলে এর আগে জানান মেরকেল।
আয়োজক দেশ হিসেবে তিনি এ ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছাতে কাজ করবেন বলেও জানান।
তবে মূল সম্মেলনের চেয়ে বিশ্ববাসীর নজর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ ভ্লাদিমির পুতিনের সাইডলাইন বৈঠকে। স্থানীয় সময় বিকেলে বৈশ্বিক আধিপত্যের দুই ক্ষমতাকেন্দ্র হিসেবে রুশ-মার্কিন দ্বন্দ্ব-বিরোধ নিয়ে কথা বলবেন তারা।
ইউক্রেন সংকট, সিরিয়া যুদ্ধের পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নানা নিষেধাজ্ঞা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের মতো নানা ইস্যু উঠে আসতে পারে তাদের আলোচনায়।
এদিকে, সম্মেলনকে ঘিরে হামবুর্গে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ২০ হাজার পুলিশ। তবে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে হামবুর্গে চলমান বিক্ষোভ এরইমধ্যে সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। প্রতিবাদকারীরা 'ওয়েলকাম টু হেল' শিরোনামে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন।
এতে অংশ নেন ১২ হাজারের বেশি মানুষ। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৭৬ জন পুলিশ সদস্য।
ধারণা করা হচ্ছে, সম্মেলন চলাকালীন সেখানে ১ লাখ বিক্ষোভকারী জমায়েত হবেন।