গাংনীতে সালিস বৈঠকে গৃহবধু ও যুবক নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা গ্রেফতার-১৩
এম এ লিংকন,মেহেরপুর প্রতিনিধি Channel 4TV :
মেহেরপুরের গাংনীর করমদী গ্রামের গৃহবধু সিমা খাতুন ও আশরাফুল ইসলাম নামের এক যুবক কে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে নির্যাতিতা সিমা খাতুনের পিতা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক,ইউপি সদস্য আমানুল্লাহ ও ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ সহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে গাংনী থানায় মামলা টি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন কে আসামী করা হয়েছে। মামলায় ইউপি সদস্য আমানুল্লাহ ও স্থানীয় কাজি সিহাব উদ্দীন সহ ১৩ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন,আওয়ামীলীগ নেতা ও তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ,গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও তেঁতুলবাড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হকের ভাই ময়নুদ্দীন,আবু সালেহ,আবু তালেব,আজমাইন হোসেন,খলিল মন্ডল,শরিফুল ইসলাম,হানিফ,কাবের আলী,আব্দুর রহমান,আবুল হাসেম ও কাউছার আলী।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গৃহবধু সিমা খাতুন কে নির্যাতন করা হয়েছে এমন অভিযোগে তার পিতা নওয়াপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১৬ তাং ০৮। মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামী সহ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। নির্যাতিতা সিমা খাতুনের পিতা নওয়াপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান,মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তার মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এদিকে গৃহবধু সিমা খাতুন ও আশরাফুল ইসলামের নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। তবে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে কতিপয় ব্যক্তি দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। সাবেক ইউপি সদস্য দানিয়েল হোসেন জানান, ৩০ জুন শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে তার ভাতিজা একচোঁখ অন্ধ আশরাফুল ইসলাম করমদী মধ্যে পাড়ায় তার কয়েকজন বন্ধুদের সাথে বসে কথা বলছিলেন এসময় কতিপয় যুবক তাকে ডেকে নিয়ে একই পাড়ার জনৈক্য আলমগীর হোসেনের স্ত্রী সীমা খাতুনের ঘরে জোর পূর্বক তুলে দিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। পরে পরোকিয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে আশরাফুল ইসলাম ও সিমা খাতুন কে মারধর করে রশি দিয়ে ঘরের মধ্যে বেধে রাখা হয়। ১লা জুলাই শনিবার সকালে সেখান থেকে তাদের সালিস বৈঠকে ডেকে নিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। সালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক,ইউপি সদস্য আমানুল্লাহ,ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ, আওয়ামীলীগ নেতা মোশাররফ হোসেন ও জামাল উদ্দীন প্রমুখ।