গাংনীর ধানখোলা টু খড়মপুর রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম
খড়মপুর থেকে ফিরে এম এ লিংকন Channel 4TV : ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনীতে রাস্তা নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও দরপত্র বহির্ভূত কাজ করার অভিযোগে উঠেছে। গাংনী উপজেলার ধানখোলা টু খড়মপুর গ্রামের কাচা রাস্তা পকাকরণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী আজ রোববার সকালে। এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে এলজিইডির অর্থায়নে ৭০ লাখ টাকা ব্যায়ে ধানখোলা টু খড়মপুর গ্রামের কাচা রাস্তা পকাকরণের কাজ চলছে। এ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠাকাদার বাদশামিয়া।ম্যানেজার মুননাফ আলী, ওই ঠিকাদারের কাছ থেকে সমঝোতার চুক্তিতে কাজ বাস্তবায়ন করছেন। রাস্তাটি তিন মিটার চওড়া,৭৫ মিলিমিটার ১হাজার ৫০০ মিলিমিটার লম্বা ও ১নং ইট ব্যবহারের কথা দরপত্রের চুক্তি রয়েছে। কিন্তু বাদশামিয়া ও মুননাফ আলী দরপত্রের চুক্তি বর্হিভূতভাবে নির্মানের কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।স্থানীয়রা জানান,দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী ঠিকাদারকে সহযোগিতায় অনিয়মের মধ্য দিয়ে কাজ সম্পন্ন করছেন।
ধানখোলা গ্রামের শরিফুল ইসলাম হাবিবুর রহমান,বলেন, কাজের শুরু থেকেই নিন্মমানের ইট ব্যবহার অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে কাজ করে চলেছেন।তারা আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী রাস্তায় ১নং ইট ব্যবহার করতে হবে। অথচ সেখানে ৩নং ইট ব্যবহার করছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মুননাফ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নিয়ম অনুযায়ী ১নং ইট ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্ত ইটভাটায় ১নং ইট দেওয়ার কথা ছিলো সেখানে ভুল করে ভাটা মালিক ৩নং ইট দিয়েছে ।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান, তিনি একাধিক জায়গায় কাজ দেখাশোনা করার কারণে কাজে টুটি হতে পারে। ব্যাপারে তিনি উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দীন সর্দ্দার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। উপ সহকারী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিচ্ছি দরপত্র অনুযায়ী কাজ বুঝে নিতে হবে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।