হবিগঞ্জে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-এর ৫ম প্রতিষ্টা বার্ষিকী পালিত
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জে ঝাকজমকপুর্ণ ভাবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের চৌধুরী বাজারস্থ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর অস্থায়ী কার্যালয়ে কেক কাটা ও আলোচনা সভার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর গঠনতন্ত্র ও সার্বিক কাঠামো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর হবিগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য একে কাওসার। পরে সংগঠনের সকল সদস্যদের নিয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক জননী’র সম্পাদক ও অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ আবুল লেইছ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিদিনের বানীর স্টাফ রিপোর্টার শেখ আব্দুল হাকিম, শায়েস্তাগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জমির আলী, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর হবিগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য একে কাওসার, দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার জাকারিয়া চৌধুরী, দ্যা রিপোর্টের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি কাজল সরকার, দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জাহেদ আলী মামুন,
দৈনিক জননীর স্টাফ রিপোর্টার এ এম শাহ আলম, বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সহিবুর রহমান, বিজয়ের প্রতিধ্বনির শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ও দৈনিক আমার সংবাদ এর উপজেলা প্রতিনিধি মোতাব্বির হোসেন কাজল, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ এর বানিয়াচং উপজেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম তালুকদার, চ্যানেল এস চুনারুঘাট উপজেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৪ দফা দাবী তুলে ধরা হয়।
১.সারা দেশে পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা দ্রুত প্রণয়ন করে আইডি নাম্বার প্রদান করতে হবে।
২.সরকার ও গণমাধ্যম কর্র্তৃক সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৩.সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৪.৬ষ্ট থেকে উচ্চতর কাøাস সমুহে গণমাধ্যম বিষয়ক একটি অধ্যায় অর্ন্তরভুক্ত করতে হবে।
৫.সরকারী, আদা সরকারী ও স্বায়ত্ব শাষিত প্রতিষ্টান সমুহের পি আর ও পদে প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়োগ করতে হবে।
৬.পেশাগত কাজে সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার ও হামলা মামলার ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে করতে হবে।
৭.তালিকাভুক্ত সাংবাদিককে সরকার কর্তৃক মাসিক ভাতা প্রদান করতে হবে।
৮.হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সাংবাদিক ও সংবাদ পত্র বহনকারী যানবাহন আওতাভুক্ত রাখতে হবে।
৯.প্রতিটি গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের অনুকুলে কল্যাণ ফ্রান্ড গঠন করতে হবে।
১০.তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে কোন সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে না।
১১.সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে জাতীয় প্রেসকাউন্সিলে দায়ের করতে হবে।
১২. বিটিভি, বাসস ও বাংলাদেশ বেতারে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে হবে।
১৩.জাতীয় স্থানীয় পত্রিকাগুলোকে সরকার পুর্বের ন্যায় প্রয়োজনীয় কাগজ বরাদ্ধ দিতে হবে।
১৪.জেলা ও উপজেলায় প্রতিনিধিদের সরকার ঘোষিত ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা প্রদান করতে হবে।