তাহিরপুরে গড়ে উঠছে পর্যটন শিল্প জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাদার ফিসারিজ খ্যাত টাংগুয়ার হাওরের জীব বৈচিত্র রক্ষা করেই হাওরে গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র। সে লক্ষ্যেই পর্যটকদের জন্য শ্রীর্ঘই তৈরী করা হচ্ছে ৫টি নান্দনিক কটেজ। এছাড়াও নিয়োগ করা হবে ১২জন টুরিষ্ট গাইড ও কুকার। এমন আবাশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান। এই আবাশের পর থেকেই তাহিরপুর উপজেলাবাসী পর্যটনশিল্প বাস্থবায়ন হওয়ার আনন্দে ভাঁসছে। গত ১২ই জুলাই বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান তাহিরপুর উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক ও সর্বস্থরের জনসাধারনের সাথে মতবিনিময় করে শ্রীর্ঘই পর্যটনশিল্প হচ্ছে বলে জানান। এ উপজেলার রয়েছে-সীমান্ত ঘের্ষা ৩শত ফুট উচ্চতার বারেক টিলা,উপজাতিদের মন্দির,জলপ্রপাত,শাহআরফিন (রা) আস্তানা,সনাতন হিন্দুদের পন্যতীর্থ স্থান,উঁচু-নিচু পাহাড়ের শারি,গনসবুজের সমারোহ,সীমান্ত লেক,ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্প,৩টি শুল্ক ষ্টেশন (চারাগাঁও,বড়ছড়া,বাগলী),মুক্তিযোদ্ধের সৃত্মি চিহ্ন,ছোট বড় ২০টি ভারতের মেঘালয়ের বুক চিড়ে নেমে আসা পাহাড়ী ছড়া,রাজা উইক্লিবস এর বাড়ি,আওলী জমিদার বাড়ি,শিমুল বাগান,২৩কিলোমিটার দৈঘ্য যাদুকাটা নদী,ঝর্না,মেঘ,বৃষ্টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মনোরম পরিবেশের পাশা-পাশি সীমান্তে উপজাতি ও বাংলাদেশীদের একত্রে বসবাসের এক মিলন মেলার চিত্র। যা পর্যটকদের নয়ানাবিরাম,নৈসগির্ঘ প্রাকৃতিক সৌন্দযের্র আত্মতৃপ্তি দিচ্ছে। ৯০দশকের শুরুতেই এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আর্কষনে পর্যটক ও দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করে। এরপর ২০০০সালের পর পরেই বাড়তে থাকে দেশী-বিদেশী হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারনা মুখরিত হয়ে উঠে। এর পর থেকেই দাবী তুলে তাহিরপুরবাসী পর্যটন শিল্প গড়ে তুলার। এই দাবী প্রেক্ষিতে ২০১০সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাহিরপুরে এক বিশাল জনসভায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পর্যটন শিল্প গড়ে তুলার। মাদার ফিসারীজ খ্যাত টাংগুয়ার হাওরের একটি প্রবাদ আছে-নয়কুড়ি বিল,ছয় কুড়ি কান্দা। এর সমন্বয়ে গঠিত শত বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই টাংগুয়ার হাওরে নানান প্রজাতির বনজ ও জলজ প্রানী এ হাওরের সৌন্দর্য কে আরো দর্শনীয় করেছে। পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পিযুস পুরকাস্থ টিটু,স্থানীয় ব্যবসায়ী সাদেক আলী,শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সহ জেলার সচেতন মহল ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান-পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে বছরে সরকারের কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব্য আয়ের পথ সুগমের পাশা পাশি স্থানীয় কয়েক হাজার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান-তাহিরপুর বাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী ছিল দর্শনীয় স্থান গুলোকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলার তা পুরন হচ্ছে শুনে সবাই খুশি। দ্রুত কাজ শুরু করার দাবী জানাই। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম জানান,এই উপজেলায় অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। প্রতিটি স্থানেই পর্যটন শিল্প হিসাবে গড়ে তুলার মত। জীববৈচিত্র ধবংস না হয় সে বিষয়ে সবাই সর্তক থাকতে হবে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান বলেন,টাংগুয়ার হাওরের জীব বৈচিত্র রক্ষা করেই খুব শ্রীর্ঘই হাওরে গড়ে তুলা হবে পর্যটন কেন্দ্র। টাংগুয়ার হাওর রক্ষায় সবাইকেই দায়িত্ব নিতে হবে যাতে করে টাংগুয়ার হাওর ধবংস না হয়।