নীলফামারী বড় মাঠ এখন ফ্রি ওয়াইফাই জোন পৌর মেয়রের উদ্যোগে
শাহ মো: জিয়াউর রহমান,নীলফামারী
নীলফামারী বড় মাঠ ও পৌর সুপারমার্কেট এলাকা ফ্রি ওয়াইফাই জোন উন্মুক্ত করা হয়েছে। এসব স্থানে দর্শনার্থীরা তাদের স্মার্টফোন ও ল্যাপটপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট সংযোগ পেয়ে যাবেন। নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের উদ্যোগে উক্ত ফ্রি ওয়াইফাই জোনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ খালেদ রহীম।
পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে বুধবার (১৯ জুলাই) রাত আটটার দিকে বড় মাঠে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, অধ্যক্ষ সারোয়ার মানিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রশিদ মঞ্জু সহ পৌর কাউন্সিলারগণ, গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও সাংবাদিক।
এ সময় পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পৌরবাসীর জন্য ফ্রি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানের এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সুত্র মতে, এ জন্য বড় মাঠ ও পৌর সুপার মার্কেট এলাকায় তিনটি রাউটার স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে এক সাথে সাড়ে ৭শত জন ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ যে, স্মার্টফোন আর ট্যাবের সহজলভ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে সহজলভ্য হচ্ছে ইন্টারনেটও। আর ওয়াইফাই ইন্টারনেট বিষয়টিকে করে দিচ্ছে আরও সহজ। আমাদের দেশে পুরো ধারনাটি নতুন হলেও উন্নত বিশ্বে এটি পুরনো একটি ট্রেন্ড। এসব দেশে মূলত বিভিন্ন জনবহুল স্থানকে কেন্দ্র করে ওয়াইফাই হটস্পট তৈরি করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন শপিং সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, পার্ক প্রভৃতি। এসব জায়গায় বিনামূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ওয়াইফাই জোন যেখানে বিনামূল্যে কিংবা ত্রেবিশেষে চার্জ পরিশোধ করে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। ফ্রি ওয়াইফাই জোন সাধারণ ব্যবহারকারী বিশেষ করে শিার্থীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিনামূল্যের এই ওয়াইফাই সুবিধা দারুণ একটি উদ্যোগ। আমরা দেখেছি যে দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা ধীরে ধীরে স্মার্টফোনের দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটির বেশি যা আগামী কয়েক বছরে কয়েক গুন হবে। এ ছাড়া আমাদের দেশে ওয়াইফাই ব্যবহারের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।