ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামীলীগের নির্বাচন ২৯ জুলাই প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা
ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামীলীগের নির্বাচন ২৯ জুলাই প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা
আগামী ২৯শে জুলাই সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামীলীগের(যুক্তরাষ্ট্র) দিবার্ষিক নির্বাচন।প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই পরিষদের প্রার্থীরা।জয়নাল-সেন্টু-জাহাঈীর পরিষদে সভাপতি পদপ্রার্থী বর্ষীয়াণ রাজনীতিবিদ সকলের গ্রহণীয় ব্যক্তি এক সময়ের চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্রনেতা সাবেক সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামীলীগের সফল সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্বদানকারী ব্যাক্তি জয়নাল চৌধুরি ।স্হানীয় আওয়ামীলীগের সমর্থক সাথে কথা বলে জানা যায় সেন্ট্রাল মহানগর ফ্লোরিডা আওয়ামীলীগ এর আজ যে শক্তিশালী ভিত্তি তার মূল কারিগর হলেন এই জয়নাল চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শরিয়তপুরের কৃতি সন্তান, নড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি,বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠানের দক্ষ সংগঠক আনোয়ার হোসেন সেন্টু,সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম যিনি দীর্ঘধরে শরিয়তপুরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। সহ- সভাপতি আজিজুর রহমান যিনি সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা আওয়ামীলীগ এর প্রতিষ্ঠা সহ - সভাপতি সহ তিন তিনবার এই পদে রয়েছেন। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী যার রাজনৈতিক হাতেখড়ি স্কুল জীবন থেকে তৃনমূল থেকে গড়ে ওঠা রাজপথের সৈনিক চট্রগ্রামের রাজনৈতিক আন্দোলনের সূতিকাগার সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ - সভাপতি নাজিম উল্লাহ লিটন।তারুণ্যনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়নে তরুণদের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সেদিক থেকে নাজিম উল্লাহ লিটন ভোটারদের বেশ নজড় কেড়েছে। কোষাধ্যক্ষ জালাল আহমেদ যিনি আগেও তিনবার এই পদে অতি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রচার সম্পাদক পদে কনক রেজা তিনি আগের কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।এক কথায় নবীন প্রবীণের সম্বন্বয়ে গঠন করা হয়েছে জয়নাল-সেন্টু- জাহাঈীর পরিষদ যা নব গঠিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিচ্ছবি বলে সবাই মনে করছেন ।দলের প্রতি আনুগত্য,নীতি,আদর্শ ত্যাগ,পারিবারিক ঐতিহ্য, শিক্ষা এই বিষয় গুলোর উপর গুরুত্ব দিয়ে এই প্যানেলটি প্রকাশ করে বলে জানা যায়।অপর পক্ষে মিলন- জসিম পরিষদে যারা পদপ্রার্থী তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের গুঞ্জন হচ্ছে।সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুর রহমান মিলন যিনি আগে জাতীয় পার্টি রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিল।এই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন রাজনীতিতে নিষ্ক্রয়,বিগত দিনে রাজনীতির বিভিন্ন অনুষ্টানে তার অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।এই পরিষদে যুগ্ন -সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জুয়েল সাদাত বিরুদ্ধে জামাত রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।তার বাবা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সিলেটে রাজাকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে স্হানীয় বাসিন্দা জানান এবং তিনি বিগত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মেয়র পদপ্রার্থী আরিফুল হকের পক্ষে প্রকাশ্য প্রচারণা চালায়।সহ- সভাপতি পদপ্রার্থী মোয়াজ্জেম ইকবাল আওয়ামীলীগের সুযোগ সন্ধানী হিসেবে পরিচিত। সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদক রাজনীতিতে অপরিচিত মুখ,সহজ ভাষায় নব্য আওয়ামীলীগ। এক কথায় এই পরিষদে নিষ্ক্রিয়, জামাত বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রীড,সুযোগসন্ধানী নেতার ভরপুর। এমন পরিস্হিতিতে ভোটারা তাদের রায়ের মাধ্যমে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির জয় সুনিশ্চিত বলে সকলের নিকট ধারণ। স্হানীয় একটি পত্রিকার জনমত জরিপে জয়নাল সেন্টু পরিষদের পক্ষে প্রায় ৮০ ভাগ জনসমর্থন রয়েছে।