মেহেরপুরে অতিবষর্ণের কারণে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার
এম এ লিংকন মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরে অতিবষর্ণের কারণে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার । দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। প্রবল আর টানা ভবষর্ণের করণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ ও গৃহপালিত পশু-পাখি। পানিবন্দি অবস্থায় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকায় বাড়ির চার পাশে রাস্তা হওয়ায় পানি নিস্ক্রয় কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ১০০ বাড়ি পানিবন্দি হয়ে আছে। বসতবাড়ীর ওঠান ও চারপাশে পানি ওঠায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দেখা দিয়েছে গৃহপালিত পশু পাখির খাবারের সংকট। অধিকাংশ স্কুলে পানি ওঠায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় বিঘœ ঘটছে। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াতে কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
হিজলবাড়িয়া গ্রামের পানিবন্দি মৃত করিম হোসেনের স্ত্রী ফলেজান নেছা জানান, বাড়ির ওঠানে হাটু পানি ঘর থেকে আজ দুদিন বাহিরে নামতে পারিনি টানা বৃষ্টিতে আমার একটি বসতঘর ভেঙ্গে গেছে । ্একটি গাবী গরু নিয়ে বিপদে আছি আমার পাশে দাড়ানোর কেই নেই।
একই গ্রামের কৃষক আজিবার হোসেন ,মতিন ,শুকুর আলী,মহিবুল হোসেন ,আহসেদ আলি ,শাহাজুল ইসলাম ,মন্টু ,মহাসিন ,জামাত আলী ,আজিনুরইসলাম,রমজানআলী,বকর,ইয়াজুল ইসলাম,আতাব,মফ্ফাজেলহোসেন,ইছাহাক আলী,সুজিনা খাতুন,আহমেদ আলী, চান্দু জানান,
আমাদের বাড়ির চার পাশে রাস্তা পানি বের হওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় টানা বৃষ্টিতে বসত বাড়ীতে হাটু পানি পানির কারণে শিশুদের চলাচল এবং গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে আছি । পানি বের করা না হলে গৃহপালিত পশু না খেয়ে মরবে সাথে মাঠের ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে ।
হিজলবাড়িয়া গ্রমের ইপি সদস্য আব্দুল খালেক বলেন ,অতিবষর্ণের কারণে গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে । গ্রামের চার পাশে রাস্তা হওয়ায় পানি বেরহওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে এব্যাপারে সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে বিষয়টি অতিদ্রুত ব্যবস্থ নেওয়া হবে ।
সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলম ফারুক জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি পানিতে কিছু পরিবারের সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে গ্রামে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার যাতে আবার নতুন বাড়ি নির্মান করতে পারে এজন্য পরিবারের পাশে থাকবেন।