শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক চেয়ারম্যানের কব্জা থেকে ভিজিএফ’র এক’শ বস্তা গম জব্দ,সচিব বরখাস্ত
প্রতিনিধি ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গণি অভিযানে চেয়ারম্যানের কব্জা থেকে ভিজিএফ’র এক’শ বস্তা গম জব্দ করা ও সচি কে বরখাস্ত করা হয়েছে। শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের জিম্মায় থাকা একশ বস্তা (৫ মে: টন) ভিজিএফ কর্মসুচির গম জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই গম গত ঈদুল ফিতরে দুস্থদের মাঝে বিতরণের কথা ছিল। শৈলকুপার এসিল্যান্ড এস এম মুনিম আহম্মেদ লিংকন গোপন সুত্রে খবর পেয়ে এই গম জব্দ করেন। এ ঘটনায় আজ রোববার কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অসিম কুমার সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এলাকাবাসির অভিযোগ কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দীন জোয়ারদার মামুন গত ঈদুল ফিতরে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত গম বিতরণ না করে নিজে কুক্ষিগত করে রাখেন। গত ঈদুল ফিতরে কাঁচেরকোল ইউনিয়নে ১৫৩২টি কার্ডের বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া সব গম তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও কথিত আছে। ভিজিএফ কর্মসুচির গম বিতরণ না করে কুক্ষিগত রাখার খবর জানতে পেয়ে শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসন শনিবার সন্ধ্যা রাতে অভিযান চালায়। অভিযানকালে কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন থেকে একশ বস্তা গম উদ্ধার করে।
এই গম ঈদুল ফিতরে এলাকার দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণের কথা ছিল। অভিযোগ পাওয়া গেছে গত বছর মাদক ব্যবসায়ীদের ছাড়িয়ে নিতে কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দীন জোয়ারদার মামুন পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে শৈলকুপা থানার এক এসআই মনির হাজরাসহ তিন পুলিশ আহত হন। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অসিম কমুার সরকার জানান, চেয়ারম্যান এই গম বিতরণ না করে নিজের ইচ্ছা মতো বিক্রি ও বিতরণ করছিলেন। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নয় বলে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি সচিব দাবী করেন। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গণি জানান, আমরা ভিজিএফ কর্মসুচির একশ বস্তা গম জব্দ করেছি, যেটা বিতরণ না করে চেয়ারম্যান নিজের জিম্মায় রেখেছিলো। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অসিম কুমার সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কাঁচেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় মামলা পক্রিয়াধীন আছে। এ বিষয়ে কথা বলতে কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন জোয়ারদার মামুনের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।