গাংনীতে গৃহবধু নির্যানের ঘটনায় চেয়ারম্যান কারাগারে
এম এ লিংকন মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর গাংনী উপজেলার করমদী গ্রাম অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে গৃহবধুওযুবক কে নির্যাতনের ঘটনায় মামলার অন্যতম আসামি তেতুঁলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ২ টার সময় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই তিন আসামি মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-২য় বিচারক শাহিন রেজার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে আদালতের পাঠানো নির্দেশ দেন।
আত্মসমর্পনকারী অন্যদের মধ্যে আসামিরা হলেন , ইউপি সদস্য আমানুল্লাহ, স্থানীয় মাতবর আলম হোসেন ।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে একচোঁখ অন্ধ আশরাফুল ইসলাম করমদী মধ্যে পাড়ায় তার কয়েকজন বন্ধুদের সাথে বসে কথা বলছিলেন। এসময় কতিপয় যুবক তাকে ডেকে নিয়ে একই পাড়ার এক বিদেশ প্রবাসির স্ত্রীর ঘরে জোর পূর্বক তুলে দিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। পরে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে আশরাফুল ইসলাম ও সিমা খাতুন কে মারধর করে রশি দিয়ে ঘরের মধ্যে বেধে রাখা হয়। ১লা জুলাই শনিবার সকালে সেখান থেকে তাদের সালিস বৈঠকে ডেকে নিয়ে বিয়ে দেয়া হয়। ওই সালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, ইউপি সদস্য আমানুল্লাহ, ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ, আওয়ামীলীগ নেতা মোশাররফ হোসেন ও জামাল উদ্দীন প্রমুখ। ওই ঘটনার পর নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। পরে গত ৮ জুন নির্যাতিতার পিতা বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।