ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষ স্বাধীনতার আনন্দে
আর দু’দিন পরেই ছিটমহল বিনিময়ের দুই বছর পূর্ণ হবে। এই দুই বছরেই সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্তির আনন্দে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিলুপ্ত ছিটমহলের সকল বয়সী মানুষ। মৌলিক অধিকারগুলো বুঝে নেয়ার পাশাপাশি জীবন-জীবিকায় গতি আনতে তৎপর তারা।
আটষট্টি বছর এক অনিশ্চিত অন্ধকারে থাকতে হয়েছে ১৬২টি হাজারও নারী পুরুষ ৫০ হাজার মানুষকে। ভারত বা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে থাকলেও এদের কোনো দেশ ছিল না। পরিচয় বলতে ছিল মনের মধ্যে একটি জিজ্ঞাসাবোধক চিহ্ন।
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মুছে যায় সেই অনিশ্চয়তা বিলুপ্ত হয় ছিটমহগল। ৭১-এ স্বাধীনতার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হাজারও নারী পুরুষ ফিরে পায় নিজের অস্তিত্ব আর জাতীয়তা। তারপর থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন সংগ্রাম।
এই দুই বছরেই বিলু্প্ত ছিটমহলবাসীর জীবনে এসেছে নতনু গতি। নিজেদের ভাগ্যের পাশাপাশি দেশ গড়ায় অংশ নিতে এখন তৎপর শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষ।
ছোট দেশ, অনেক মানুষ, সীমিত সম্পদ-এই সীমাবদ্ধতা মেনেও আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই নতুন প্রজন্মের। বিলুপ্ত ছিটমহল এলাকার এরই মধ্যে স্পাহিত হয়েয়েছ ১৭টি স্কুল এখন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পূর্ণ। ঘরে ঘরে চলছে বয়স্ক শিক্ষা আর সমৃদ্ধ জীবন গড়ার নানা তৎপরতা।