শ্রীপুরে মৃত গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টা কসাই পলাতক এলাকায় তোলপাড়
টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে বরমী পাঠানটেক এলাকায় জলাতংক রোগে মৃত গরুর মাংশ বিক্রি করা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। ঘটনার পর থেকে কসাই মোক্তার হোসেন ,আলম মিয়া ও তাদের সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।মৃত গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টার ঘটনাটি দৃ’দিন ধরে এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে।
জানাযায়, উপজেলার পাঠানটেক গ্রামের শুক্কুর আলীর একটি বকনা গরুকে প্রায় ২৫দিন পূর্বে কুকুরে কামড়ায়। এতে ওই গরুটি জলাতংক রোগে আক্রান্ত হয়। প্রানান্ত চেষ্টার পরও মঙ্গলবার সকালে শুক্কুর আলীর গরুটি মারা যায়। চামড়া সংগ্রহের কথা বলে বরমী বাজারের কসাই মোক্তার, আলম,রুবেল,আঃ কাদির,ও শহিদ দুই হাজার টাকায় মৃত গরুটি ক্রয় করে। পরে কসাইরা ওই মৃত গরুর মাংস বরমী বাজারে এনে বিক্রির প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় লোকজন মৃত গরুর মাংস সহ কসাই শহিদ ও আলমকে আটক করে। স্থানীয় লোকজন জানায় খবর পেয়ে এনামুল হক ও শুভ মিয়া ঘটনা স্থলে গিয়ে কসাইদের সাথে আতাৎ করে টাকার বিনিময়ে আটক দু’কসাইকে ছেড়ে দেয়। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মৃত গরুর মাংস মাটি চাপা দেয়। তবে এনামুল হক মাষ্টার ও শুভ মিয়া উঁৎকোচের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এলাকবাসীর নিকট থেকে অবগত হয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। শ্রীপুর থানার এস,আই মহসিন জানান, পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে কসাইরা পালিয়ে যায়। বরমী বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মোড়ল জানান, অভিযুক্ত কসাইয়ের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি কসাইদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন। জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই । তদন্ত পূর্বক আইন গত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।