ঝিনাইদহে হ্যন্ডকাপ নিয়ে আসামীর পলায়ন
ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সুর্য্যদিয়া গ্রামে বুধবার রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে আসামী ধরতে গিয়ে গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক পালিয়ে যায়। তবে মহেশপুর থানার ওসি আহম্মদ কবীর ঘটনার পরপর এ ঘটনা অস্বীকার করে বলেছিন, মহেশপুর থানার কোন পুলিশ সদস্য সেখানে যায়নি। হয়তো অন্য কোন বাহিনীর সদস্যরা যেতে পারে। বৃহস্পুতবার দুপুরে তিনি স্বীকার করেন, আসামী সাইফুল পালিয়ে গেছে, তবে হাতে হ্যান্ডকাপ ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৮টার দিকে চারজনের সাদা পোশাকের লোক নিজেদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে নাটিমা ইউনিয়নের সুর্য্যদিয়া গ্রামে যান। সেখানে তারা যুবদল নেতা শুকুর আলী ও আজাদসহ অন্যান্যদের খুজতে থাকেন। একপর্যায়ে যুবদল নেতা শুকুর আলীর ভাই সাইফুলকে পেয়ে তার হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে গ্রামবাসি জড়ো হয়ে তাদের পরিচয় ও আটকের বিষয়ে জানতে চাই। গ্রামবাসির হৈচৈ এর মধ্যে সাইফুল হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় পালিয়ে যায়।
বেগতিক দেখে আসামী ধরতে যাওয়া ব্যক্তিরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। পরে আরো কিছু মটরসাইকেলে করে লোক নাটিমা বাজারে আসা সাদা পোশাকের লোকদের নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে নাটিমা গ্রামের যুবদল নেতা শুকুর আলী জানান, রাজনীতি করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা থাকতে পারে। সেই মামলায় হয়তো তাদের ধরতে এসেছিলো। স্থানীয় গ্রামবাসির অভিযোগ সাইফুল নামে মহেশপুর থানার এক এএসআই সাদা পোশাকে নাটিমা গ্রামে এসেছিলেন। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর আজাদ হোসেন জানান, সাইফুলকে পুলিশ সাদা পোশাকে ধরতে এসেছিলো, কিন্তু সে হাতকড়া অবস্থায় পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন পুলিশের আতংকে অনেক পরিবার এখন ঘরছাড়া।
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে পুলিশ এসে আরেকদফা মরধর করেছে বলে তিনি অবিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম ঘটনার দিন রাতে জানান আমি মটরসাইকেলে আছি। কাদা পানিতে কাহিল। মহেশপুরে এসে কথা বলছি। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি আহম্মদ কবীর বলেন, পালিয়ে যাওয়া সাইফুলের হাতে হাতকড়া ছিল না। পুলিশ তাকে ধরার পর এমনিতেই পালিয়ে গেছে। তিনি ঘরবাড়ি বা দোকান ভাংচুরের কথা অস্বীকার করে বলেন, এমনতিইে মহেশপুরের নাটিমা ইউনিয়নে এক ধর্ষককে গ্রেফতারে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। এতে সেখানে কিছুটা আতংক বিরাজ করছে।