শৈলকুপার আলম মেম্বরের ভয়াবহ নির্যাতনের তথ্য প্রকাশ !
ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মধুদা গ্রামের একটি হিন্দু পরিবারের উপর নানাবিধ নির্যাতনের সাথে জড়িত স্থানীয় আলম মেম্বরের ভয়াবহ নির্যাতনের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এই আলম মেম্বর সরকারী দলের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজী থেকে শুরু করে এহেনও কোন কাজ ইেন যে সে করে না। তার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে সবাই অহসায়। নিজে হাতে খুন করে হাত পাকানো আলম মেম্বরকে দেখে তাই সবাই সমীহ করে। সম্প্রতি তার অত্যাচারে গ্রাম ছাড়া এক হিন্দু পরিবারের উপর নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে গ্রামবাসি। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ধীর্ঘদিন ধরেই জাঙ্গালিয়া গ্রামের মলি খোন্দকারের ছেলে মফিজ উদ্দীন ও আলম মেম্বর মধুদা গ্রামের ওই হিন্দু পরিবারের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। নির্যাতনে ওই পরিবারের মেয়ে খুশি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয় গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, মধুদা গ্রামের সুনিল কুমার বিশ্বাস দীর্ঘদিন ভারতে আছেন। স্বামীর অবর্তমানে সুনিলের স্ত্রী সবিতা রানী তার তিন মেয়ে হাসি তৃপ্তি ও তুলিকে নিয়ে মধুদা গ্রামেই থাকতেন। তার দুই মেয়ে তৃপ্তি ও হাসি ঢাকার গার্মেন্টে কাজ করেন। ছোট মেয়ে তুলিকে নিয়ে মধুদা গ্রামে স্বামীর ভিটে আঁকড়ে ছিলেন সবিতা। সবিতা রাণী অভিযোগ করেন, আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার নিকট এক লাখ টাকা চাঁদাদাবী দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে তারা মারধর করে। মেয়ে তৃপ্তি ও ফুলি তাদের পা জড়িয়ে মাফ চেয়ে ৮ হাজার টাকা দেয়। সন্ত্রাসীরা আরও টাকা দাবী করলে তাদের কাছে ২০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। সবিতা বলেন, চেক আর টাকা নিয়েও তারা সন্তুষ্ট না হলে আমরা তাদের নিকট সময় চেয়ে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
অভিযোগ পাওয়া গেছে মফিজ ও আলম মেম্বরের নেতৃত্বে কাঁচেরকোল ইউনিয়নে সন্ত্রাসী বাহিনী য়েছে। তাদের ভয়ে কেও টু-শব্দ করে না। সন্ত্রাসী আলম মেম্বার, মফিজ, রুয়েল, চান্নু, লিটন ও ডিশ বাবুর নামে একাধিক মামলা থাকলেও আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তারা বেপরোয়া। স্থানীয় কচুয়া তদন্ত কেন্দ্রের আইসিরা বিভিন্ন সময় আলম মেম্বরের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে তার অপকর্মকে বৈধতা দিয়ে আসছে এমন অভিযোগও এলাকাবাসি করেন। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানতে পেরে বৃহস্পতিবার আলম মেম্বরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন আলম ওই হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে চাঁদার টাকা ও চেক গ্রহনের কথা স্বীকারও করেছে। তিনি বলেন, হিন্দু পরিবারটি নির্যাতনের সাথে জড়িত কেও রেহায় পাবে না। কুচয়া, মধুদা ও কাঁচেরকোল ঠান্ডা করতে যা যা প্রয়োজন তাই করা হবে বলেও ওসি দৃঢ়তার সাথে অভিমত ব্যক্ত করেন।