শুধু পানিতে ডুবেই প্রতিদিন বাংলাদেশে মারা যায় ৫০ শিশু
শুধু পানিতে ডুবেই প্রতিদিন বাংলাদেশে মারা যায় ৫০ শিশু। বছর শেষে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজারে। সবশেষ করা সরকারি পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এই তথ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর এই হার কমিয়ে আনা সম্ভব শুধু সাঁতার শেখার মাধ্যমে। আর তাই, এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে, ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় শিশুদের সাঁতার শেখানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান।
সন্তানের কবরের পাশে বসে, মায়ের এমন নিশ্চুপ কান্নার চেয়ে করুণ দৃশ্য হয়তো আর কিছু নেই।
মাত্র দুই মাস আগে, নিজের দুই ছেলে আর ভাইপোকে হারিয়েছেন সামেলা বেগম। সবাই মারা গেছে পানিতে ডুবে।
১৫৭ নদীর বাংলাদেশে, সামেলার মতো এমন সন্তান শূন্য ঘরের সংখ্যা, নিতান্তই কম নয়। যেখানে বছরে ১৮ হাজার শিশুর নিঃশ্বাস কেড়ে নেয় পানি। যাদের ৪৩ শতাংশেরই বয়স ৫ বছরের নিচে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন মৃত্যুর বেশিরভাগই ঠেকানো সম্ভব শুধু সাঁতার শেখার মাধ্যমে। পাশাপাশি দরকার একটু সচেতনতা।
সাঁতার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। ইনজেকশন দিয়ে যেমন যক্ষা ঠেকানো যায়, তেমনি একবার সাঁতার শিখলে সারা জীবনের জন্য পানিতে ডোবার আশংকা মুক্ত হওয়া যায়।
গাজীপুরের শ্রীপুর ছাড়াও বাংলাদেশের আরো বেশ কয়েকটি জেলায় শিশুদের সাঁতার শেখানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সাথে শেখানো হচ্ছে ডুবন্ত মানুষকে বাঁচানোর কৌশলও। শুধু বাংলাদেশ নয়, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামেও এধরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে বেশ কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান।
এখানে শিশুদের দক্ষ সাঁতারু হওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে না। বরং তারা যাতে পানিতে পড়ে গেলে নিজেই নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারে সে বিষয়ে দক্ষ করে গড়ো তোলা হচ্ছে তাদের।
প্রকল্পের লক্ষ্য, সাঁতার শেখার পর প্রাণ বাঁচানো ছাড়াও অন্য শিশুদের সাঁতারের প্রশিক্ষণ দেবে এই শিশুরা। যাতে একসময় কমে আসবে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার।