অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার কালীগঞ্জে এমপি পুত্র খুনের প্রধান আসামী গ্রেফতার
মোঃ লোকমান হোসেন পনিরঃ কালীগঞ্জের সাবেক এমপি মোখলেছুর রহমান জিতু মিয়ার কণিষ্ঠ পুত্র হাবিবুর রহমান ফয়সাল খুনের প্রধান আসামী রিমনকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড তাজা গুলি ভর্তি একটি ম্যাগজিন, দুইটি দেশীয় রামদা ও দুইটি মোবাইলসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
গতকাল ৬ আগষ্ট র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার বিন কাশেম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গত ৩০ জুলাই রাতে ফয়সাল খুনের পর রিমন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফয়সাল খুনের ঘটনায় তার বড় বোন মাসুমা সুলতানা মুক্তা বাদী হয়ে গত ০১/০৮/২০১৭ইং তারিখে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। গত ৫ আগষ্ট দুপুর ২টায় র্যাবের একটি অভিযানিক দল গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন উত্তরগাঁও বাজার হতে মামলার প্রধান আসামী মোঃ সাইদুল ইসলাম ওরফে মোসলেম উদ্দিনের পুত্র মোঃ তৌহিদুল ইসলাম রিমন (২২) কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় রিমন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঘটনার দিন মোঃ আহসান উদ্দিনের পুত্র মোঃ হুমায়ুন (২৭) ও মোঃ হানিফ উদ্দিনের পুত্র মোঃ নওসাদ (২৫) কে সাথে নিয়ে তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে ফয়সালকে গুলি করে হত্যা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি উত্তরগাঁও গ্রামের আলমগীরের দোকানে রেখে পালিয়ে যায়। র্যাব-১ আলমগীরের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ফয়সাল হত্যায় ব্যবহৃত একটি ম্যাগাজিনসহ পিস্তল, দুই রাউন্ড তাজা গুলি, দুইটি দেশীয় রামদা ও দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে রিমন আরো জানায়, হুমায়ুনের ভাতিজি সুমাইয়া আক্তারের সাথে ফয়সালের সখ্যতা ছিল। এরই প্রেক্ষিতে আসামী রিমন ফয়সালকে গুলি করে হত্যা করে। প্রথমে সে পালিয়ে গিয়ে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার করতাতুল গ্রামের তার বন্ধু ও প্রাণ কোম্পানীর ডিষ্ট্রিবিউটর ইব্রাহিমের বাড়ীতে এবং পরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার গার্মেন্টস কর্মী মোঃ মামুনের বাড়ীতে আত্মগোপন করে।
গতকাল রোববার দুপুরে র্যাব-১ আসামী রিমন ওরফে লিমনকে কালীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। আসামী নওসাদ ইতিপূর্বে পুলিশের হাতে আটক হয় এবং অপর আসামী হুমায়ুন পলাতক রয়েছে।
আসামী রিমনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মামলা নং-১৩ তারিখ-১৫/০৭/১৩ ধারা-৩২৩/৩২৪/৩৭৯/৫০৬/ দঃ বিঃ, মামলা নং-১২ তারিখ-২৩/০৮/১৪ ধারা-১৭০/৩৭৯/৩৪১/৫০৬ দঃ বি, মামলা নং-০৮ তারিখ-১৭/১১/১৪ ধারা/৩০২/৩৪ দঃ বি, মামলা নং-০৪ তারিখ-১২/০৮/১৪ ধারা-৩৯৫/৩৯৭ দঃ বিঃ ও মামলা নং-১ তারিখ-০১/০৮/১৭ ধারা-৩০২/৩৪ দঃ বিঃ রয়েছে।
অবৈধ অস্ত্রের মালিককে আইনের আওতায় আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত জানায়, এখনো আমরা সম্পর্ণ তথ্য পাইনি। আসামী রিমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অবৈধ অস্ত্রের মালিককে গ্রেফতার করা হবে।