দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিন
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। বিদেশ থাকায় তিনি আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না। আদালতে হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে দুদক। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল করা হবে না- তার কারণ দর্শানোর জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত। ৩০ মিনিটের মধ্যে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খানকে এর কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেন।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জবাব দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। চিকিৎসা শেষে আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে ফিরবেন। যেহেতু তিনি দেশে ফিরবেন সেজন্য জামিন বহাল রাখার আবেদন মঞ্জুর করার নিদের্শনা চান আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত ৭ আগস্ট আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। তবে গত ৭ আগস্ট আদালত এ বিষয়ে ১৭ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছেন।
জিয়া অরফানেজ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। প্রকৃতপক্ষে এই অর্থ কুয়েতের আমির অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য দিয়েছেন। যেই টাকা লাভসহ (প্রায় পৌনে ৬ কোটি) এখনও ট্রাস্ট ফান্ডে জমা রয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়।
খালেদা ছাড়া এই মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।