রাবিতে শিবিরের ১২ নেতাকর্মী আটক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল থেকে শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বুধবার ভোর ৪টা পর্যন্ত হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিহাদি বই, শিবিরের রিপোর্ট বই, তথ্য ও দুটি কম্পিউটারসহ নগদ ১৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, জোহা হল শাখা শিবিরের সেক্রেটারি ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুল হাসান নাফিস, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম, আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, পরিসংখ্যান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহানুর আলম হিমেল, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাহেব রানা, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রাকিব, আরবি বিভাগের মাস্টার্সের নাবিউল ইসলাম, অলিউল ইসলাম ও একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী।
আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের ১৪৩ নম্বর কক্ষে সাহেব রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার কাছে শিবিরের বিভিন্ন তথ্য, ডকুমেন্ট ও ক্রেস্ট পান। তার দেয়া তথ্য অনুসারে হলের ১৪৮, ১৫৫, ১৫০, ২৪৯, ২৫৪, ২৭৬, ৩৫৮, ৩৬০ ও ৩৬২ নম্বর কক্ষে অভিযান চালায়।
এ সময় তাদের কাছে থেকে বিভিন্ন জিহাদি বই ও শিবিরের রিপোর্ট বই, ডায়েরি, অর্থ বিভাগের ১৯ হাজার টাকা ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতকর্মীর তালিকা পাওয়া যায়। অভিযানের সময় তাদের বেধড়ক মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ভোর ৪টার সময় মতিহার থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘গোয়েন্দা ও প্রশাসনে কাছ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সোহরাওয়ার্দী হলের সাহেব রানা ও নাবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হলের বেশ কয়েকটি কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে আরও ১১ জনকে শনাক্ত করা হয়। তাদের প্রত্যেকেই শিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা শিকার করেছে। তবে একজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে।’
মতিহার থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ১২ জন শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে আমাদের হাতে সোপর্দ করেছেন। তাৎক্ষণিক অধিকাংশই শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।