বুরকিনা ফাসোয় সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ১৭
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর রাজধানী উয়াগাদৌগৌ-এ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৮ জন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরটিবি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার কিছু পরেই এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, উয়াগাদৌগৌর কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত ব্যস্ত এলাকা কুয়ামে নাকরুমাহ এভিনিউয়ের একটি হোটেল ও পাশের রেস্টুরেন্টের বাইরের বসে থাকা লোকজনদের লক্ষ্য করে তিন বন্দুকধারী হঠাৎ গুলি ছুড়তে শুরু করে।
মালয় মেইল জানিয়েছে, বন্দুকধারীরা একটি পিকআপ ট্রাকে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা চালায়। এরপর তারা সেখানে থাকা বাকিদের জিম্মি করার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী সেখানে পৌঁছে আশপাশ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়। এরপর বন্দুকধারীদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়।
ওই গোলাগুলিতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। বুরকিনা ফাসো সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়।
হোটেল ব্রাভিয়া এবং আজিজ ইস্তাম্বুল রেস্টুরেন্ট – এই দু’টো জায়গাই হামলার লক্ষ্য ছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
ঘটনায় হতাহতদের দায়িত্বরত স্থানীয় একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, নিহতদের একজন তুরস্কের নাগরিক। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
বুর্কিনা ফাসো সরকারের মুখপাত্র রেমিস দান্দজিনৌ জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক হামলার শিকার হয়েছে। নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করে যেন তাদের পরিবারকে দ্রুত জানানো সম্ভব হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, এটি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদারই কোনো সহযোগী সংগঠনের কাজ। আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সবচেয়ে সক্রিয় একটি দল।
শেষ খবর পর্যন্ত ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ আপাতত বন্ধ রয়েছে। নিজ নাগরিকদের ওই এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।
এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। ওই সময় কুয়ামে নাকরুমাহ এভিনিউয়েরই স্প্লেনডিড হোটেল ও পাশের কাপুচিনো রেস্টুরেন্টকে লক্ষ্য করে চালানো হামলায় ১৭০-এর বেশি জিম্মি ও তাদের ৩০ জন নিহত হয়। আল-কায়েদা ওই হামলার দায় স্বীকার করে।