হজ যাত্রীরা টিকেট না কাটায় বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে: মেনন
হজযাত্রায় বিড়ম্বনা কমছেই না— হজ এজেন্সিগুলো এখনো ১৫ হাজার হজ যাত্রীরা টিকেট না কাটায় বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
চলমান সঙ্কট নিরসনে সোমবার সকালে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, যেসব এজেন্সি সরকারকে বিব্রত করতে হজ যাত্রা বিঘ্নিত করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নবে সরকার।
তিনি বলেন, হজ যাত্রায় ভোগান্তি পরিবহন সঙ্কটের জন্য হয়নি, বরং ভিসা জটিলতায় যাত্রী সঙ্কটের কারণে হয়েছে। এখনো ১৫ হাজার যাত্রীর ভিসা হয়নি। এমনকি ১৬টি এজেন্সি একজন যাত্রীও সৌদি আরবে পাঠায়নি।
মেনন আরো বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আটকেপড়া হজ যাত্রীদের জেদ্দায় পৌঁছাতে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রুটে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। কিছু ফ্লাইট সীমিতও করা হয়েছে।
তবে যাদের গাফিলতিতে হজ যাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান বিমানমন্ত্রী।
এদিকে, হজ যাত্রীদের জন্য আজ (সোমবার) ১০টি ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রত্যেকটি ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা পূর্ণ থাকায় কোনো হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। হজ যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সোমবার ৫টি নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরেকটি ফ্লাইটের বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেকটি ফ্লাইটেই ৪১৯ জন করে যাত্রী যাবেন। ফ্লাইটগুলোতে যাত্রী সংখ্যা পূর্ণ থাকায় কোনো হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে তারা।
এছাড়াও সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সেরও ৪টি ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ৬২ হাজার ৭৪৩ জন হজ যাত্রী সৌদি আরব গেছেন। এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে ভিসা জটিলতা, মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি ও বাসা ভাড়ায় বিলম্বের কারণে এখনো ৬২ হাজারের বেশি যাত্রী জেদ্দায় যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।