যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংসের মুখে
সম্প্রতি অ্যাকশন ফর চাইল্ড হুড অ্যারাইভাল-ডাকা কর্মসূচি বাতিলের জন্য টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন ডেফার্ড মামলা করেছেন। মামলায় তিনি জয়ী হলে এ কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশীসহ ৮ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এদিকে, ডাকা কর্মসূচি বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
ডাকা কর্মসূচি বহাল রাখার দাবিতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ার এলাকায় বিক্ষোভ করেছে- নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশন এবং মেক দ্য রোডসহ অভিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণের কাজে নিয়োজিত ৩০টি মানবাধিকার সংগঠন। এসময়, ব্যঙ্গাত্মক মুখোশ, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন প্রদর্শনসহ ট্রাম্প বিরোধী স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ চলাকালে ট্রাম্প টাওয়ারের প্যান্থহাউসে অবকাশ যাপনে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডাকা বাতিলের এ পদক্ষেপ বর্ণবাদী শেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের ষড়যন্ত্রের অংশ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মূলত পরিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন।
ডাকা কর্মসূচি বাতিলের জন্য মামলা দায়ের করার পর থেকে নিজের সন্তানদের ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কায় আছেন বিক্ষোভে অংশ নেয়া বাংলাদেশি এ অভিভাবক।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ কর্মসূচি বাতিল করা হলে তাদের ভবিষৎ স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাবা মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসা কাগজপত্রহীন সন্তানদের জন্য টেম্পরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাস-টিপিএস এর মাধ্যমে কাজের অনুমতিপত্রসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল বা ডাকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। এই তথ্য নিশ্চিত করতে হবে।