দেশের সেবা করা সুযোগ সবার কপালে জুটে না
এস এম কামরুল হাসান পিপিম
এম.রফিকুল ইসলাম (চট্টগ্রাম ব্যুরো) : গত কয়দিনের টানা বৃষ্টির কারনে অনেক জায়গার মতো আমার কর্মস্থল নোয়াখালীর মাইজদী হইতে সোনাপুর যেতে হোয়াইট হল নামক কমিউনিটি সেন্টার এর সামনের রাস্তার কিছু অংশ পানিতে ডুবে আছে এবং সেইখানে বড় বড় তিনটি গর্ত হয়েছে যেইখানে ছোট গাড়ির চাকা পরলেই আটকে যায় বা উল্টে যায় , যার কারনে সকাল ১০ টার দিকে মারাত্বক যানজট সৃষ্টি হয়েছে । যারা এই রোডে যাতায়াত করেন তারা নিশ্চয় অবগত আছেন । যারা যানজট দেখলে ট্রাফিক পুলিশের গোষ্ঠী উদ্ধার করেন ।
তাদের বলছি একটু চিন্তা করে দেখবেন , কেনো জ্যাম টা লেগে আছে । বলছি না আমরা দুধে দোয়া তুলশী পাতা ,কিন্তু সব সময় যে আমরা বিভিন্ন কারনে আপনাদের চলাচলের পথ মসৃন করতে পারি না চেষ্টা থাকা সত্বেও সেই ব্যাপারটা যেন মাথায় রাখেন তাই ছোট্ট এই লিখাটা ।
সকাল থেকে নানান সংস্থার কাছে সাহায্য চায়তে চায়তে যানজটের পরিমান একদিকে সোনাপুর অন্যদিকে পৌর বাজার পর্যন্ত ঠেকেছে । তাই নোয়াখালী জেলার টি আই এডমিন সাখাওয়াত হোসেন আমাকে সেই খানে যেতে বলেন ,কোন উপায় না পেয়ে নিজেই যখন ছোট ভাই সার্জেন্ট জুয়েলসহ আশপাশের জায়গা থেকে ইট পাথর খুঁজে গর্ত ভরাট করা শুরু করলাম দেখি স্থানীয় লোকজনও আমাদের সাথে সেচ্ছায় এগিয়ে এলো এবং অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই গর্তগুলো ভরাট হয়ে গেলে যানজট নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ।
ছোট্ট একটু কাজের জন্য কতশত মানুষের যে ভোগান্তি হয়েছে তা বলে বুঝানো যাবে না । দেশ মাতার জন্য কাজ করতে পারা ভাগ্যের যা সবার কপালে জুটে না । দেখুন কোন টাকা পয়সাও লাগে নাই ,এলাকার মানুষগুলো আমরা কাজ শুরু করা মাত্র এসে আমাদের সাথে কাজ করতে শুরু করলে যার কারনে নিমিষে গর্ত ভরাট হয়ে গেলো এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে চলে এলো ।
কে করবে ,কার করা উচিত ,কেন করলো না ,এইসব না ভেবে নিজের সামনে সুযোগ এলে করে দিলেই হয়ে যায় । আসুন সকলে চেষ্টা করি ,যার সামনেই দেশমাতার জন্য সামান্য কাজ করার সুযোগ আসে আমরা করে ফেলি ।দেশটা তো আমাদের, তাই এর জন্য কিছু করতে পারা তো ভাগ্যের । কত মা বোন গত কয়েকদিনে এই গর্তগুলোতে পরে আহত হয়েছে ,আর যানজটে কষ্ট পেয়েছে তা খোদা ভালো জানেন । আশা করছি এখন আর তেমন সমস্যা হবে না । ক্ষমা করবেন যদি কোথাও ভুল করে থাকি । কৃতজ্ঞতা যারা আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন ।
ভালো থাকুক দেশমাতা আমার , ভালো রাখুক তার সন্তানদের ।