চলচ্চিত্র বিদায় জানাল রাজ্জাককে
একদিন এই এফডিসিতে নিজের চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেছিলেন রাজ্জাক। পেয়েছিলেন ‘নায়করাজ’ খেতাব। পেয়েছেন অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা। জয় করেছেন দর্শকদের হৃদয়। আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে এই এফডিসি থেকেই তিনি বিদায় নিলেন চিরদিনের জন্য। এর আগে দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজ্জাকের মরদেহ নিয়ে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িটি যখন এফডিসিতে পৌঁছে, তখন বেলা ১১টা। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই। ছিলেন কবরী, ববিতা, সুচন্দা, চম্পা, রোজিনা, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আলমগীর, জাভেদ, উজ্জ্বল, শাকিব খান, মিশা সওদাগর, আমিন খান, সাইমন, বাপ্পি, ওমর সানী, শাবনূর, ফেরদৌস, রুবেল, সুব্রত, খোরশেদ আলম খসরু, জায়েদ খান প্রমুখ। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন ফুল ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
জানাজার আগে রাজ্জাকের ছেলে রাপ্পারাজ তার বাবার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা আর নেই। ওনার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির অফিসে বসেছিলেন অনেকেই। এখানে কথা হলো কয়েকজনের সঙ্গে।
সূচন্দা বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে বেহুলাসহ অনেক ছবিতে কাজ করেছি। আমার সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলো সুন্দর ছবিগুলো তার সঙ্গেই হয়েছে। আজও মনে হয় সে আছে। তার সঙ্গে কাজের স্মৃতিগুলো এখন কষ্ট দেবে।’
ববিতা বলেন, ‘প্রথমে একটা ছবিতে ওনার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। পরে যখন নায়িকা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে বলল, তখন খুব লজ্জা পেয়েছিলাম। জহির রায়হান বোঝানোর পর কাজ করেছি। এরপর ওনার প্রযোজিত অনেক ছবিতে কাজ করেছি। ওনার মতো ভালো মানুষ খুব কমই আছে।’
শাবনূর বলেন, ‘ওনার মতো অভিনেতা আর হবে না। একবার ওনার সঙ্গে বিমান ভ্রমনের সুযোগ পেয়েছিলাম। পুরো পথটাই তিনি টেককেয়ার করেছেন। ওনার মতো অতিথিপরায়ন মানুষ আর হয় না।’
চম্পা বলেন, ‘ওনার সঙ্গে খুব কম ছবিতেই কাজ করেছি। তবে ওনার মতো অভিভাবক আমরা আর পাব কিনা জানি না।’