ধর্মীয় গুরুর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর ভারত জুড়ে আগুন
ভারতের কথিত ধর্মীয়গুরু গুরমিত রাম রহিম সিং এর বিরুদ্ধে তার দুই অনুসারীকে ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করার পর পাঞ্জাব-হরিয়ানা রাজ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছে।
ডেরা সচ্চা সৌদা-র প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং-কে বিশেষ সিবিআই আদালত দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলে আদালত চত্বরের বাইরে লাঠি, বাঁশ, ইট-পাথর নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করে তার সমথর্করা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে পাঁচকুলায় পুলিশ গুলি চালিয়েছে। সেখানে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৩ জন নিহত হয়, আহত হয় কমপেক্ষ ২০০ জন। পাঞ্জাব-হরিয়ানাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে এমন সহিংসতায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছে।
দুই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় থানা এবং সরকারি দফতরসহ দু’টি রেলওয়ে স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে রাম রহিমের অনুগামীরা। পাঁচকুলায় ও পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে জারি হয়েছে কারফিউ। পাঁচকুলায় অন্তত ২৮ জন নিহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রশাসনিক সূত্রে এখনও সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতর হরিয়ানা তাণ্ডব প্রবল আকার নিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। মিডিয়ার একাধিক গাড়ি এবং ওবি ভ্যান নষ্ট করে দিয়েছে হামলাকারীরা।
পরিস্থিতি প্রবল উত্তপ্ত পাঞ্জাবেও। দিল্লি, ভাতিন্ডা এবং মলোত রেলওয়ে স্টেশনে তাণ্ডবকারীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। রাজধানীর আনন্দ বিহার রেলওয়ে স্টেশনে একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ডেরা অনুগামীরা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ এবং মনোহরলাল খট্টরকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ডেরা সমর্থকদেরকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘বাবা রাম রহিম নিজেও শান্তি চাইছেন,’ বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। হরিয়ানা সীমান্ত সিল করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির পুলিশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও দিল্লিতে অশান্তি ছড়িয়ে পড়া রোখা যায়নি। উত্তরাখণ্ডোও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে।রহিম সিং এর বিরুদ্ধে ২০০২ সালে তার দুই অনুসারীকে ধষর্ণের অভিযোগ আনা হয় । এ মামলার রায় শুক্রবার প্রকাশ হওয়ার পর হতাহতের ঘটনা ঘটে।