ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দুরপাল্লার সকল রুটে ভয়াবহ যানজট নিরসনে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী
এম.রফিকুল ইসলাম(চট্টগ্রাম) : ঈদ যাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ দুরপাল্লার সকল রুটে ভয়াবহ যানজট এবং যাত্রী ভোগান্তি নিরসনের দাবীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার অন্তর্ভূক্ত ৪৫ টি বেসিক ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং আন্তঃ জিলা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে এক জরুরী মতবিনিময় সভায় বিআরটিসি মার্কেটস্থ বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মুছার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আন্ত: জিলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট পরিবহন নেতা আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন আহমদ। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল কমিটি (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) সভাপতি মৃনাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি ও আন্ত: জিলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ, আন্ত: জিলা বাস মালিক সমিতির নেতা বদরুল হুদা মুরাদ, খোরশেদ আলম, আবুল বশর চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহা পালনকালে সকল ধরণের যানবাহন সমূহ সুষ্ঠভাবে চলাচলে মহাসড়কে বিরাজমান ভয়াবহ যানজট নিরসন করা অত্যন্ত জরুরী। যানজট সৃষ্টির মূল কারণ বর্তমানে মেঘনা-দাউদকান্দি টুল ব্রীজে ৮টি কাউন্টার থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৪টি চালু রাখা এবং দাউদকান্দি ও মেঘনা সেতু পাড় হওয়ার সময় টোল প্রদান করার জন্য ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ট্যাংক লরী ও বাস সমূহ একই লাইন দিয়ে পার করার কারণে উক্ত এলাকা সহ মাইলের পর মাইল উভয় পাশে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যাত্রী সাধারণ ঈদ যাত্রায় প্রতিনিয়ত অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তাছাড়া ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকার কারণে যানবাহন সমূহ আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। উল্লেখিত পরিস্থিতিতে উক্ত স্থান সমূহে দুরপাল্লার রুটের সকল বাস সমূহ আলাদা লাইন করে টোল আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৮টি কাউন্টার চালু সহ চলমান অসহনীয় যানজট নিরসন করে আসন্ন ঈদ যাতায়াত সুগম ও নির্বিঘœ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান। অন্যথায় যাত্রী সেবা প্রদান সম্ভব হবে না এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ দুরপাল্লার বাস সমূহ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা ছাড়া বিকল্প থাকবে না মর্মে মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ঘোষণা প্রদান করেন। সভায় এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।