তাহিরপুরে চোরাচালান নিয়ে সংঘর্ষে ১জন নিহত: ১ চোরাচালানীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধসুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তে গরু ও মদ পাচাঁর করাকে কেন্দ্র করে চোরাচালানীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এঘটনার প্রেক্ষিতে আরো ১ চোরাচালানীকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় বিএসএফ। এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার রাত ১০টায়। মৃত চোরাচালানীর নাম-রাজেস (২৫)। তিনি ভারতের শীলং জেলার ঘুমাঘাট থানার অন্তগত নলিকাটা এলাকার বাসিন্দা। আর আটককৃত চোরাচালানীর নাম-ফিরোজ মিয়া (২৭)। তিনি উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়গোফ বারেকটিলা গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানায়,উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের একাধিক চোরাচালান ও মদ পাচাঁর মামলার জেলখাটা আসামী আবু বক্কর,তার সহযোগী বড়গোফ-বারেকটিলা গ্রামের রফিক মিয়া ও লাউড়গড়-চাঁনপুন বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে প্রতি গরু থেকে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নামে ৪০০টাকা,চানপুরের ২ মেম্মারের নামে ২০০টাকা,চানপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১৫০০টাকা,থানার নামে ৫০০টাকা,স্থানীয় ৩ সাংবাদিকদের নামে ৩০০টাকাসহ মোট ৩হাজার টাকা ও প্রতি বস্তা কয়লা থেকে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৩০০টাকা,পাথরের প্রতি নৌকা থেকে ২০০টাকা চাঁদা নিয়ে প্রতিদিনের মতো গতকাল সোমবার রাত ৯টায় ২০-৩০জন চোরাচালানীকে চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের মাঝে অবস্থিত বারেকটিলা দিয়ে ও যাদুকাটা নদী দিয়ে প্রায় ৫শতাধিক লোককে কয়লা ও পাথর পাচাঁরের জন্য ভারতে পাঠানো হয়। পরে রাত ১০টার সময় চোরাচালানীরা ভারতে ভিতরে গিয়ে মদ ও গরু পাচাঁরের হিসাব-নিকাস ও ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দুইগ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় চুরিকাঘাতে চোরাচালানী রাজেস গুরুতর আহত হয়। এঘটনার খবর পেয়ে বিএসএফ এসে চোরাচালানী ফিরোজ মিয়াকে ধরে নিয়ে যায়। আর অন্যান্য চোরাচালানীরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এবং আশংকাজনক অবস্থায় চোরাচালানী রাজেসকে উদ্ধার করে ভারতের শীলং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে তার মৃত হয়। এঘটনার পর থেকে পুরো সীমান্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও এখনও পর্যন্ত সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের ব্যাপারে জোরালো কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিজিবি। এর আগে বালিয়াঘাট সীমান্তে চোরাচালানী জিয়াউর রহমান জিয়া,আব্দুর রাজ্জাক,কালাম মিয়া,রতন মহলদার,মানিক মহলদার,হাসান আলী ও তিতু মিয়ার নেতৃত্বে চোরাচালানের সময় ট্রলি নিচে পৃষ্ট হয়ে ১জনের মৃত্যু হওয়াসহ চুরাই কয়লার গুহায় চাপা পড়ে ৩জনের মৃত্যু হয়। এব্যাপারে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার শহিদ বলেন,আমি এব্যাপারে কোন কিছু বলতে পারব না,সিও স্যারের নিষেধ আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,মদ পাচাঁর নিয়ে চোরাচালানীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন আহত হওয়াসহ আর একজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খরব পেয়েছি,এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।