নীলফামারীর সৈয়দপুরে পরকীয়ায় স্ত্রীকে রেখে শালার স্ত্রীকে নিয়ে পলায়ন
শাহ মো: জিয়াউর রহমান,নীলফামারী
প্রেম মানে না কোন কিছু। প্রেমের কাছে সব কিছু তুচ্ছ। এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের চিকলী আবাসনে। পরকীয়ার কারণে স্বামী সন্তান রেখে নিজবাড়ী হিন্দুপাড়ার শফিকুলের স্ত্রী (ছদ্দনাম রানী) ও স্ত্রী সন্তান রেখে চিকলী আবাসনের জুয়েল গত ২৭ আগষ্ট অজানার উদ্যেশে পাড়ি দেয়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পরকীয়া ছিল বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। কিন্তু ঘটনার পরের দিন ২৮ আগষ্ট রাতে জুয়েল রানীকে নিয়ে তার বাড়ীতে হাজির হন। এসময় জুয়েলের স্ত্রী ও বাড়ীর লোকজন তাদের দেখতে পেলে বাড়ীতে গন্ডগোল শুরু হয়। মূহুর্তের মধ্যে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত লোক জড়ো হয় জুয়েলের বাড়ীতে। খবর পেয়ে রানীর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে জুয়েলের বাড়ীতে এ ঘটনা নিয়ে মারমারি অবস্থা সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে বৈঠকের চেষ্টা করে। সেখানে উপস্থিত হন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতাউর রহমান। তিনি উত্তেজিত দুই পক্ষকে বৈঠকের মাধ্যমে সুরাহা করা হবে বলে জানিয়ে দেন। এ নিয়ে পরের দিন ২৯ আগষ্ট বৈঠক হওয়ার কথা হলেও এখন পর্যন্ত কোন বৈঠক হয়নি। বরং ঘটনা বেগতিক দেখে ওই ইউপি সদস্য কেটে পড়েন। ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান বলেন, আমি ঘটনা শুনে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। কোন পক্ষ আমাকে না ডাকায় আমি যাইনি। ইদানিং আবাসনে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে এক শ্রেণির লোকের সহযোগীতায় নানা অপকর্ম হচ্ছে আবাসনটিতে। ওই আবাসনে আনোয়ারা বেগম নামে এক মহিলা দীর্ঘদিন ধরে গোপনে দেহ ব্যবসা করে আসছিল। গত ৫ আগষ্ট ওই এলাকার আলেক নামে এক ব্যক্তি আনোয়ারার সাথে অসামাজিক কর্মকান্ডে হাতে নাতে ধরা পড়েন। পরে তাদের ভ্র্যাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে আদালত উভয়কে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। বর্তমানে তারা জেল হাজতে রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আবাসনটি ভবিষ্যতে অপকর্মের স্থানে পরিণত হবে। এতে করে ওই আবাসনে বসবাসকারি পরিবারের ছেলে মেয়েরা জড়িয়ে পড়বে নানা অপকর্মে। তাই সময় থাকতে এর বিহিত করতে হবে এবং আবাসনের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। এলাকার সচেতন মহল এসব বন্ধে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।