শেষ মূহত্বে এসে কোরবানীর পশুর হাট বেশ জমে উঠেছে
বন্দর নগরীতে অস্থায়ী-স্থায়ী পশুর ৮টি হাট আজ বুধবার বিকেলে থেকেই বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতা- বিক্রিতাদের মধ্যে যোগ সংযোগ তৈরি হচ্ছে শুধুমাত্র পছন্দের গরু-ছাগলটি ক্রয় করতে।আর তাতেই যত বিপত্তী,বড় গরু দাম নাগালে থাকলেও মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর দাম যেন আকাশচুম্বী।
বেপারীরা এই সাইজের গরু গুলো কে সহজে বিক্রয় করতে চাচ্ছেন না।এই নিয়ে কোরবানী দেওয়া মধ্যম পরিবারের ক্রেতারা কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছে।বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এবং রাতেই বেপারীরা কিছুটা হিমশিম খেয়ে হালকা- পাতলা ছোট সাইজের গরু বিক্রয় করতে দেখা গেছে।
বুধবার রাতে সরজমিনে ইপিজেডের সিমেন্ট ক্রসিং(ইশানমিস্ত্রী হাট)অস্থায়ী পশুর হাটে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়।পতেঙ্গার স্টীলমিল-কাটগড় পশুর হাটেও একই পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গেছে।কর্নফুলী,বিবির হাট এবং সাগরিকা পশুর হাটেও দর-দামের ব্যবধান দেখে দূরদূরান্ত থেকে আগত পশু ক্রেতারা হতাশ হয়ে পড়েছে।
তবে কিছুটা আশস্ত স্বরে কুস্টিয়া থেকে আগত গরু বেপারী কলিম বলেন,বৃহস্পতিবার হতে মাঝারি-ছোট সাইজের গরুর দাম কমতে পারে।আমরা এতো দূর হতে এসেছি বিক্রয় করতে গরু ফেরত নিতে চাই না । তাই কিছুটা লাভ আসলেই ছেড়ে দিব।
এদিকে বেশ কয়েকটি হাট নিয়ে ইজারাদারা চসিকের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সহ মুখেমুখি হাট স্থাপন করায় আইনের আশ্রয় নিতে সিএমপি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।ততমতে,ইপিজেড-পতেঙ্গার দুটি হাট একই পথে হওয়াতে ইজারাদার গণ একে অপরের বিরুদ্ধে বিষদগার করছেন। যাহাতে ঐ এলাকার বসবাসরত বাসীন্দা এবং ফুটপাতদিয়ে চলাচলরত পথচারীরা চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে।
বিষয়টি সরজমিনে দেখার জন্য সিএমপির পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার চৌধুরী ৩০ আগস্ট দুপুরে হঠাৎ করে হাট গুলো পরিদর্শন করে কিছুটা অসোন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন ।এসময় তিনি হাট ইজারাদারদের মূল সড়কে গরু-ছাগল না রেখে তা সড়িয়ে নিতে অনুরোধ জানান।