ঢাবিতে নতুন উপাচার্যের নিয়োগ নিয়ে দ্বিমত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের-ঢাবিতে নতুন উপাচার্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে হয়নি বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো শিক্ষক।
আইনের ব্যতয় ঘটেছে উল্লেখ করে বলা হচ্ছে- এ নিয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ সালের অধ্যাদেশ ভুলুন্ঠিত হয়েছে।
অন্যদিকে. এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোর রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই দায়িত্ব পালন করতে চান নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নতুন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এরইমধ্যে যোগদানপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
তার এ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা মত-দ্বিমত।
কেউ বলছেন, আইন মেনেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে আবার কেউ বলছেন এ নিয়োগে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি।
এ নিয়ে কথা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভুইয়া।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, এতে আইনের ব্যতয় ঘটেছে।
অনেকেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কিভাবে সমর্থন দিচ্ছেন - এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি।
এদিকে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান অত্যন্ত সুগঠিত এতে কোনো ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণ নেই।
সমন্বয় সাধন করেই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়া ভিসি নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্র সংগঠনগুলোর রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আইন মেনেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে এটাকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান কেউ কেউ।
আবার অনেকেই বলছেন, ভিসি নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভিসি নিয়োগের আহ্বানও জানান তারা।