'রোহিঙ্গা সংকটে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো উচিত'
নিন্দা, উদ্বেগ আর ত্রাণ সহায়তাই যথেষ্ট নয়; বরং বিশ্ব মোড়লদের তাগিদ দিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে আসতে পারে মুসলিম বিশ্ব। এমনটাই মনে করেন দেশের সাবেক কূটনীতিকদের। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জোরালো তৎপরতার পাশাপাশি; সরকারের তরফ থেকে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করে বিভিন্ন ক্ষমতাধর দেশগুলোতে পাঠানো উচিত বলেও মনে করেন তারা।
পেছনে উদ্ধত রাইফেল, সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এসব মানুষ নিজ দেশেই পরবাসী। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম নিপীড়িত, জাতিগতভাবে পরিচয়হীন মানুষ- রোহিঙ্গারা। সংকটের শুরু চল্লিশের দশকে হলেও গত ক'দিন তা যেকোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। মুসলিম এ জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে সম্প্রতি এ অঞ্চল সফর করেন তুরষ্কের ফাষ্ট লেডি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ঘুরে গেছেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। একই ইস্যুতে দমন পীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
এ পরিস্থিতিতে শুধু নিন্দা আর ত্রাণ সহায়তা নয়, বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোকে রোহিঙ্গা নিধন বন্ধে উদ্যোগ নিতে সম্মত করাতে কার্যকর পদক্ষেপের তাগিদ সাবেক রাষ্ট্রদূতদের। তাদের মতে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে মুসলিম দেশগুলোকেতো বটেই; বোঝাতে হবে নিরাপত্তা পরিষদকেও।
রোহিঙ্গা সংকটের শুরু মিয়ানমারে, তাই এর সমাধানও করতে হবে মিয়ানমারকেই। এক্ষেত্রে চীন এবং ভারতের কাছে বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দাবি নিয়েই সংকটের কথা তুলে ধরতে পারে বলেও মনে করেন তারা। রাখাইনের অভিযানে শুধু মুসলমানরাই নন, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও।