রোহিঙ্গাদের অন্ন-বাসস্থান-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে: মায়া
মিয়ানমারে সংঘটিত ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে সরকার চিন্তা ভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
শনিবার কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
দেশান্তরিত নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের অন্ন, বাসস্থান এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে—নিবন্ধনের মাধ্যমে নতুন সব রোহিঙ্গাকে একটি স্থানে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এ জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকায় পাঁচ হাজার একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানে আপাতত আড়াই হাজার একর জমিতে রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয় শিবির নির্মাণ করে দেয়া হবে।
নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দুঃখের কথা শুনে নিজেই ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন তারা। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী এবং পুরুষ কান্নাজড়িত কন্ঠে তাদের কথা বলেন, সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এ সময় মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনাদের আসল ঠিকানা হচ্ছে মিয়ানমার— সে দেশের সমস্যার সমাধান খুব দ্রুতই হয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা আপনাদের সমস্যা দেখার জন্য আমাদেরকে এখানে পঠিয়েছেন— আন্তর্জাতিকভাবে সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে আপনারা নিজ দেশে আবারো ফিরে যেতে পারবেন।
সকালে টেকনাফের মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে বীর বিক্রম আরো বলেন, এদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিকভাবে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে— পাশাপাশি একটি নিদিষ্ট স্থানে তাদের একত্রিত করে রেজিস্ট্রেশন কার্য্যক্রম শুরু করা হবে।
এ সময় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা, উপজেলা চেয়াম্যান জাফর আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন খাঁন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।