তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী হামলা ও লুটপাট, আহত-২।
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে আউলিয়াপুর গ্রামে প্রসাব করাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী মারপিট ও লুট পাটের ঘটনায় ২জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নূরুল ইসলামের পুত্র রুবেল হাং (৩০) ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১০:৩০ মিনিটের সময় বাড়ির মধ্যে ঘরের পার্শ্বে প্রসাব করতে বসে। এসময় ওতপেতে থাকা প্রতিপক্ষ দুলাল হাওলাদার আস্তা ইট মারে রুবেলের গায়ে। রুবেল ডাকচিৎকার দিলে তার বৃদ্ধ পিতা নূরুল ইসলাম হাং (৫৫) ছুটে আসলে প্রতিপক্ষ জব্বার হাং এর পুত্র দুলাল হাং (৩০), আনোয়ার হাং (৩৬), মৃত: ইমান উদ্দিনের পুত্র জব্বার হাং (৭০), দুলাল হাং এর স্ত্রী রুবিনা (২৫), জব্বার হাং এর স্ত্রী মানিক বরু (৫০) সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ভাড়াটিয়া মাস্তান পরিকল্পিত ভাবে দা, রাম দা, লোহার রড়, লাঠি ছোটা,ও ইট পাটকেল সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে একযোগে ছুটে এসে নূরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ও ঘর লুটপাট করে। এতে রক্তাক্ত যখম হয় সোনামদ্দিন হাং এর পুত্র নূরুল ইসলাম হাং, নূরুল ইসলাম হাং এর স্ত্রী হেলেনা বেগম (৪৫), পুত্র রুবেল হাং (৩০) ও রুবেলে স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৫)। তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে নুরুল ইসলাম হাং সহ অন্যান্যদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এবিষয়ে ডাক্তার রাজিব হাসান জানান নূরুল ইসলাম হাং এর মাথায়, হাতে পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। ও মাথায় ৭টি সেলাই লেগেছে। এবং প্রতি পক্ষ দুলাল হাওলাদার সহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা হাসপালে গিয়ে আহতদের জানে মেরে ফেলা ও মিথ্যা মামলা জড়ানোর হুমকী দামকি দিয়ে এসেছে। সন্ত্রাসীরা নূরুল ইসলামের ঘরের শোকেস ভাংচুর করে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার সহ গুরুত্ব পূর্ণ ও দামী মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমা-জমি নিয়ে শত্র“তা চলে আসছিল। গোপন সূত্রে জানাযায় জব্বার হাং জঙ্গী সংগঠনের একজন সক্রীয় সদস্য এবং তার ঘরে জঙ্গীর বিষয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিউটি অফিসার এস.আই মো: আউয়াল ঘটনা স্থলে গিয়ে জব্বার ও দুলাল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। এলাকার মানুষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকের নিকট জঙ্গী জব্বার সহ সন্ত্রসীদের আটক করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ।