রোহিঙ্গা-বাঙালি বিয়ে বাড়ায় স্থানীয়দের উদ্বেগ
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিয়ের মাধ্যমে বাঙালি পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে রোহিঙ্গারা। কক্সবাজারের নানা জায়গায় এমন ঘটনা এখন নিত্যদিনের। স্থানীয়দের আশঙ্কা, আত্মীয়তার মধ্য দিয়ে শরণার্থী হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঢল যে হারে বাড়ছে তাতে তারা বাঙালিদের সঙ্গে মিশে ভবিষ্যতে এ এলাকায় শক্তিশালী হয়ে উঠবে, যার প্রভাব পড়তে পারে সুদুরপ্রসারী।
বিয়ের মাধ্যমে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া অনেক রোহিঙ্গার মধ্যে রহিম অন্যতম। সাহেনা বেগম নামে কক্সবাজারের এক নারীকে বিয়ে করেছেন মিয়ানমার থেকে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা রহিম। সেই রহিম জানালেন, বাংলাদেশই তার কাছে সব। তিনি আর মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান না।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগে থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গা রহিমের ঘরের অর্ধেকটায় জায়গা পেয়েছে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে দেশটি থেকে পালিয়ে আসা আরেকটি রোহিঙ্গা পরিবার। এখন এ ঘরের মোট ১২ জন সদস্যের মধ্যে ৯ জনই রোহিঙ্গা। নতুন আসা রোহিঙ্গা পরিবারও চায় বাঙালি কারও সাথে আত্মীয়তা করতে।
উখিয়ার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেখানে বাঙালি আর রোহিঙ্গার মধ্যে বিয়ে এখন হরহামেশাই হচ্ছে। রহিমের পাশেই জমিরণের বাড়ি। তার স্বামীও একজন রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গা আর বাঙালির মধ্যেকার এই বিয়ে নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। বাঙালি আর রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাম্প্রতিক বেশ কিছু বিবাদের উদাহরণ টেনে তারা বললেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে নিজেদের শেকড় শক্ত করতে চাইছে।
স্থানীয়দের আশঙ্কা পুরনো এবং নতুন মিলে যে সংখ্যাক রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিচ্ছে তাদের যদি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো না হয় ভবিষ্যতে এ এলাকায় বাঙালি এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে বড় ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।