রাজশাহী মহানগরীর অভিজাত আবাসিক হোটেলগুলোতেও চলছে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকালাপ।
রোববার নগরীর কয়েকটি নামি আবাসিক হোটেলে পুলিশ অভিযান চালালে বিষয়টি সামনে আসে। রাজশাহী মহানগরীতে ৭০টি আবাসিক হোটেল আছে। এসবের বেশিরভাগগুলোতে চলে দেহ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড।
বিভাগীর শহর হওয়ার কারণে আশেপাশের জেলা থেকে মানুষ কাজে রাজশাহীতে আসেন। অনেকে কাজ শেষ হওয়ার পরে বাড়ি ফিরতে না পেরে অবস্থান করেন হোটেলে। এছাড়াও অনেকে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে হোটেলে অবস্থান নিয়ে থাকেন।
রোববার রাজশাহী মহানগরীর বেশ কয়েকটি হোটেলে পুলিশ অভিযান চালায়। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই আবাসিক হোটেলগুলোতে এ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের সময় বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন হোটেল গোল্ডেন স্টার হতে মোতালেব হোসেন, (২) আব্দুল
আজিজ ও আমেনা খাতুন এবং হোটেল রেড ক্যাসেল হতে নাসিরউদ্দিন ওরফে রাজা, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রিপন ও মিতা হালদারকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে হোটেল ওয়েহোম হতে মাসফিকুর রহমান ও সোহেল রানা এবং হোটেল সুকর্ণা হতে এমেদুল ইসলাম, হামিদ ও আব্দুস সোবহান মৃধাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।
পুলিশে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভবিষ্যতে নগরীর আবাসিক হোটেলসমূহে আরএমপি পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ইফতে খায়ের আলম জানান, এসব অসামাজিক কাজ বন্ধের লক্ষ্যে পুলিশ কিছুদিন আগে রাজশাহীর আবাসিক হোটেল মালিকদের সঙ্গে বসেছিলেন। সেই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিলো যে, যেসব হোটেলগুলোতে আসাজিক কাজ চলে সেগুলো বন্ধ রাখতে।
সেই সভায় আরো বলা হয়েছিলো যে, যারা হোটেলে রাত্রি যাপন করবেন তাদের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিস্তারিত ঠিকানা যেনো রাখা হয়। মাঝে মাঝে সেসব হোটেলগুলোতে পুলিশ অভিযান চালাবে বলেও জানানো হয়।
সিনিয়র সহকারি কমিশনার ইফতে খায়ের আলম আরো জানান, বর্তমান পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কাজ বন্ধ করতে বদ্ধ পরিকট। আবাসিক হোটেলগুলোতে এ ধরনের অসামাজিক কাজ বন্ধে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাবে।